অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘে শান্তি প্রস্তাব উত্থাপনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন চাইবে ইউক্রেন


নিউইয়র্কে, জাতিসংঘের সদর দফতরে নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের পর বক্তব্য রাখছেন ইউক্রেনের প্রথম উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমিন ঝাপারোভা। ১২ জানুয়ারী, ২০২৩।
নিউইয়র্কে, জাতিসংঘের সদর দফতরে নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের পর বক্তব্য রাখছেন ইউক্রেনের প্রথম উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমিন ঝাপারোভা। ১২ জানুয়ারী, ২০২৩।

ইউক্রেনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমিন জাপারোভা বৃহস্পতিবার বলেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করবে কিয়েভ, যেখানে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির ১০-দফা শান্তি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আইনের শাসনের বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন এমিন জাপারোভা। বৈঠক শেষে তিনি সংবাদদাতাদের বলেন, "ইউক্রেনীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ফেব্রুয়ারিতে শান্তি প্রস্তাবের প্রতি নিবেদিত সঙ্কল্প গ্রহণকে এক নম্বর অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে।"

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে তার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার এক বছর পূর্তি হচ্ছে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি।

গত নভেম্বরে গ্রুপ অফ টুয়েন্টি সম্মেলনে, প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি এক ভিডিও বার্তায় তাঁর বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং তার দেশের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ করার জন্য তার ১০-দফা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।

১০-দফার মধ্যে রয়েছে, ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সৈন্য প্রত্যাহার, শত্রুতা বন্ধের পাশাপাশি পারমাণবিক নিরাপত্তা, খাদ্য ও জ্বালানী নিরাপত্তা, যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি এবং নির্বাসিত ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনা।

জাপারোভা বলেন, "জাতিসংঘে ইউক্রেনের স্থায়ী প্রতিনিধি সের্গেই কিসলিয়তসিয়া এখন এই প্রস্তাববিবেচনার জন্য চাপ অব্যাহত রাখবেন, কারণ আমরা এই প্রস্তাবটি গৃহীত হবার জন্য একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করতে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানাতে পারি।"

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, শান্তির সূত্র হল আলোচনার ভিত্তি। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, কিয়েভ তার স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়, এমন কোনো চুক্তিতে সই করতে প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, "আমরা যে কোনো শান্তি আলোচনার জন্য অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যে আলোচনায় আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব, আমাদের জনগণের জন্য শান্তি নিশ্চিত হবে। কিন্তু যেমনটা আমার প্রেসিডেন্ট ক্রমাগত বলে আসছেন, আমরা ইউক্রেনের মাটির এক ইঞ্চিও ছাড় দিতে রাজি নই, এবং রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে ইউক্রেনের বাইরে না সরানো পর্যন্ত আমরা কোনো শান্তি আলোচনায় বসবো না।"

অন্যদিকে, গত ৫ জানুয়ারী ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন কিয়েভের অধিভুক্ত অঞ্চলগুলিকে স্বীকার করার বিষয়টি উল্লেখ করে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে বলেছেন, মস্কো শুধুমাত্র এই শর্তে শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত ছিল যে, ইউক্রেন "নতুন আঞ্চলিক বাস্তবতাগুলিকে বিবেচনায় নেবে।"

জাপারোভা বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার নেতৃত্বকে আগ্রাসনের অপরাধের দায়ে দায়বদ্ধ করার জন্য একটি বিশেষ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের জন্য বছরে আরও পরের দিকে সাধারণ পরিষদে দ্বিতীয় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে।

রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে, ইউক্রেনের ভূখণ্ডে সংঘটিত সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

XS
SM
MD
LG