চেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হলো শুক্রবার। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একজন বিলিওনিয়ার, একজন জেনারেল, একজন শিক্ষাবিদ। শুক্রবারের এ নির্বাচনে সম্ভবত দ্বিতীয় পর্বে ভোট গ্রহণ করা হবে কারণ প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে।
এবারের বিজয়ী প্রার্থী মিলোস জেম্যানের স্থলাভিষিক্ত হবেন। তিনি একজন স্পষ্টভাষী রাজনৈতিক প্রবীণ ব্যক্তি। তার মেয়াদে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় ২০২২ সালে চেক রিপাবলিক ইইউ-এর সভাপতি দেশ ছিল।
বিজয়ী ব্যক্তি (নতুন প্রেসিডেন্ট ‘কে দেড় কোটি জনসংখ্যার ইউরোপীয় এই দেশটির রেকর্ড পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতিকে মোকাবেলা করতে হবে।সেইসাথে, মোকাবেলা করতে হবে ইউক্রেনের যুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত ক্রমবর্ধমান রাষ্ট্রীয় আয়-ব্যয় ঘাটতিকে।
যদি একজন প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তাহলে শীর্ষ দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী ২৭-২৮ জানুয়ারিতে দ্বিতীয় পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হবেন। চলমান নির্বাচন দেখে মনে হচ্ছে প্রথম পর্যায়ের কোন প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট পাচ্ছেন না।
জনতুষ্টিবাদী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আঁন্দ্রেজ বাবিস, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল পেতর পাভেল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড্যানুসে নেরুদোভা, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯৩ সালে চেক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে, চতুর্থবারের মতো, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুসারে, বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ৬৮ বছর বয়সী বাবিস হচ্ছেন চেক প্রজাতন্ত্রের পঞ্চম ধনী ব্যক্তি।
৬১ বছর বয়সী পাভেল একজন প্রাক্তন প্যারাট্রুপার, যিনি সার্বো-ক্রোয়েশিয়ান যুদ্ধের একজন নায়ক হিসেবে পুরষ্কার পওেয়া সৈনিক। ঐ যুদ্ধের সময় তিনি একটি যুদ্ধাঞ্চল থেকে ফরাসি সৈন্যদেরকে মুক্ত করতে সাহায্য করেছিলেন।
তিনি চেক প্রজাতন্ত্রের সেনা প্রধান এবং নেটোর সামরিক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
৪৪ বছর বয়সী নেরুদোভা সামাজিক ইস্যুতে দৃঢ়ভাবে মনোনিবেশ করেছেন এবং তিনি তরুণ ভোটারদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করছেন। নেরুদোভা সবচেয়ে কম বয়সী প্রার্থী।