মিয়ানমারের সেনা সমর্থিত এক আদালত ১১২ জন রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীকে কারাদণ্ড দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঐ শরণার্থীদের তাদের শরণার্থী শিবিরের বাইরে চলাচলরত অবস্থায় আটক করা হয়। ঐ পুরো দলটিই মালয়েশিয়ার পথে যাত্রা করছিল।
রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমার ১০ জানুয়ারি জানায় যে, “বৈধ কাগজপত্র ছাড়া” ভ্রমণ করার জন্য “বাঙ্গালীদের” ঐ দলটিকে বোগালে টাউনশিপের আদালত ৬ জানুয়ারি তারিখে দুই থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে অপমানসূচক ভাবে “বাঙ্গালী” শব্দটি ব্যবহার করে।
আদালত ১৩ বছরের কম বয়সী পাঁচ জন শিশুকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। ১৩ বছরের বেশি বয়সী সাত জন শিশুকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি ৫৩ জন পুরুষ ও ৪৭ জন নারীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়।
মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের আয়েইয়ারওয়াদি অঞ্চলের বোগালে টাউনশিপের উপকূলের আশপাশ থেকে ঐ ১১২ জনের দলটিকে আয়েইয়ারওয়াদি আঞ্চলিক পুলিশ বাহিনী ২০ ডিসেম্বর তারিখে গ্রেফতার করে। এর আগে তারা মোটরচালিত নৌকা থেকে সেখানে নামেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এসব কথা জানায়।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে নির্যাতন ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে ১০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশের কক্সবাজারের জনাকীর্ণ ঝুপড়ি বস্তিগুলোতে বসবাস করছেন।
তবে, এটি পুরোপুরি পরিষ্কার নয় যে বোগালে টাউনশিপে গ্রেফতারকৃত ও কারাদণ্ড প্রাপ্ত ঐ ১১২ জনের দলটির সবাই কক্সবাজার থেকে এসেছিলেন, নাকি তাদের মধ্যে কেউ কেউ মিয়ানমারের ভেতরে অবস্থিত রোহিঙ্গা গ্রাম ও শিবিরগুলো থেকেও এসেছিলেন।