অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার জটিল প্রক্রিয়া, সময় লাগতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন


র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)। (ফাইল ছবি)
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব)। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, “র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সংস্কার নিয়ে যুক্তরাষ্ট পক্ষ কোনো আলোচনা করেনি; তবে, তারা র‌্যাবের বর্তমান কর্মকাণ্ডকে ‘সন্তোষজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। আর, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা একটি জটিল প্রক্রিয়া এবং এতে সময় লাগতে পারে।”

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লুর সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করার জন্য সঠিক পথে রয়েছে, তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সময়সীমা নেই।”

এর আগে, অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট লু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি পৃথক ব্রিফিংয়ে বলেন, “র‌্যাব নিয়ে আমাদের বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। আপনি যদি এই সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি দেখে থাকেন, তারা স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা র‌্যাবের দ্বারা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হ্রাসের অসাধারণ অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছি।”

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও র‌্যাব

উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ও পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র‍্যাব ৭–এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), মাদক দ্রব্যের বিরুদ্ধে সরকারের লড়াইয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত। এতে বলা হয়েছে যে, তারা আইনের শাসন, মানবাধিকারের মর্যাদা ও মৌলিক স্বাধীনতা এবং বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে ক্ষুণ্ন করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের বিরুদ্ধে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। র‍্যাব হচ্ছে ২০০৪ সালে গঠিত একটি সম্মিলিত টাস্ক ফোর্স। তাদের কাজের মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধীদের কর্মকান্ড সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং সরকারের নির্দেশে তদন্ত পরিচালনা করা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বা এনজিওদের অভিযোগ হচ্ছে যে, র‍্যাব ও বাংলাদেশের অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ২০০৯ সাল থেকে ৬০০ ব্যক্তির গুম হয়ে যাওয়া এবং ২০১৮ সাল থেকে বিচার বহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের জন্য দায়ী। কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই সব ঘটনার শিকার হচ্ছে বিরোধী দলের সদস্য, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা।

XS
SM
MD
LG