অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মোবাইল অপারেটরদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে: বিটিআরসি চেয়ারম্যান


বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে যে চারটি বেসরকারি টেলিকম অপারেটর; গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং এয়ারটেল এর টু-জি স্পেকট্রাম ফি এবং লাইসেন্স ফি এর ভ্যাট হিসাবে সরকারের কাছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।

রবিবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায়, কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “সরকারের টাকা মানে জনগণের টাকা, তাই অপারেটরদের অবশ্যই টাকা দিতে হবে।” বিটিআরসি টাকা তুলতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, “বিটিআরসির সকল আইন ও নীতি, জনগণের কল্যাণে প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা টেলিযোগাযোগ খাতকে দেশের একটি যুগোপযোগী খাত হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।” প্রদেয় টাকার পরিমাণের বিষয়ে তিনটি প্রধান টেলিকম অপারেটর-কে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক আদেশের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার অধ্যাপক শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, “বকেয়া প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব ও জনগণের টাকা। টেলিকম অপারেটরদের এই টাকা দিতে হবে।”

বিটিআরসির মহাপরিচালক (আইন ও লাইসেন্সিং বিভাগ) আশিস কুমার কুন্ডু বলেন, “গত বছরের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণফোনের কাছে এক হাজার ১৬৩ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা, বাংলালিংক-এর কাছে ৬২৫ দশমিক ২৭ কোটি টাকা, রবির কাছে ৫৬৫ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা এবং এয়ারটেলের কাছে ৫৯ দশমিক ০৫ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।

বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রকিব বলেছেন, বিটিআরসি অবশ্যই অপারেটরদের কাছ থেকে তার বকেয়া পাবে কারণ তারা অবৈধভাবে অর্থ দাবি করেনি।

XS
SM
MD
LG