অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান: দোষ স্বীকার করায় মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড


মুফতি কাজী ইব্রাহিম
মুফতি কাজী ইব্রাহিম

উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায়, দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায়, মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম জুলফিকার হায়াত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শুনালে, আদালতে দোষ স্বীকার করেন তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, “আজ (১৬ জানুয়ারি) এই মামলায়, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিলো। অভিযোগ গঠনের সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে, অভিযোগ পড়ে শুনানো হলে, তিনি দোষ স্বীকার করেন। পরে বিচারক, মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে কারাভোগকেই সাজা হিসেবে প্রদান করেন।”

তিনি আরও বলেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেপ্তারের পর থেকে এক বছর তিন মাস ১৯ দিন কারাগারে রয়েছে। যতদিন কারাগারে আছেন ততদিনই তাকে সাজা দিয়েছেন আদালত।

২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। হিসাব করলে দেখা যায়, গ্রেপ্তারের পর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তার এক বছর তিন মাস ১৯ দিনের কারাবাস হয়। যা দণ্ড হিসেবে প্রদান করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, “কাজী ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায়, অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ ধারাগুলোর সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাদণ্ড। যেহেতু তিনি দোষ স্বীকার করেছেন, তাই বিচারক সন্তুষ্ট হয়ে তার কারাভোগের সময়কেই সাজা হিসেবে দিয়েছেন।”

মামলার অভিযোগে বলা হয়, “কাজী ইব্রাহিম তার বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও খুতবায় দেওয়া মিথ্যা-উসকানিমূলক ও ভীতিপ্রদর্শন সম্বলিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করেন। প্রচারিত ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে উসকানিমূলক ভিডিওগুলোতে প্রচারিত বক্তব্য তার নিজের বলে স্বীকার করেন।”

কাজী ইব্রাহিম ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, আক্রমণাত্মক ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বিভিন্ন ভিডিও প্রচার ও প্রকাশ করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/৩১/৩৫ ধারায় অপরাধ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।

উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কাজী ইব্রাহিম -এর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মুন্সি আব্দুল লোকমান। এ মামলায় তাকে আদালতে হাজির করে দুদিনের রিমাণ্ডে নেওয়া হয়েছিল। রিমাণ্ড শেষে একই বছরের ২ অক্টোবর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. হাসানুজ্জামান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

XS
SM
MD
LG