বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ পুলিশসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আটক করেছে পুলিশ। এসময় ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটর বাইকে আগুন দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে, নগরীর কাজীর দেউড়ি মোড়ে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে এই সংঘর্ষ, নূর আহমদ সড়কের পুরান বিমান অফিস, স্টেডিয়াম এলাকা, আলমাস সিনেমার মোড় হয়ে ওয়াসা এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, নাসিমন ভবনে অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল করে যাওয়ার সময় এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বিএনপি কর্মীরা। পুলিশ ফাঁকা গুলি ও লাঠিচার্জ করে। এসময় কাজীর দেউড়ি এলাকায় বিভিন্ন দোকান ও স্থাপনা ভাঙচুর হয়। পুলিশ এক পর্যায়ে নেতাকর্মীর হামলার মুখে একটি টাইলস-এর শো-রুমে আশ্রয় নেয়। সেখানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে, বাড়তি পুলিশফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সংঘর্ষ চলাকালে পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকাল চারটার দিকে পুলিশ কাজীর দেউড়ির আশপাশে অভিযান শুরু করে। অভিযানে বিএনপির ২০জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
জেলা পুলিশের একটি গাড়ি রেডিসন ব্লুর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
মহানগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী জানান, “সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে দলের অফিসে আসার সময় কাজীর দেউড়ি মোড়ে পুলিশ বিনা উস্কানিতে যুবদলের মিছিলে হামলা করেছে। এর পর সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশের গুলিতে আমাদের ৭/৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে আর বহু নেতাকর্মীকে আটক করেছেপুলিশ।
সিএমপি’র উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর বিনা কারণে হামলা করা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করেছে ও আগুন দিয়েছে তারা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। বাড়তি ফোর্স মোতায়েনের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।” এখন পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান।