অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে অস্ত্রশিল্প বৃদ্ধি: প্রতিবেদন


ফ্রি বার্মা রেঞ্জারস এর দেওয়া এই ছবিতে মিয়ানমারের ক্যারেন অঙ্গরাজ্যের মুত্রাও ডিস্ট্রিক্ট এর লে ওয়াহ এর একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বিদ্যালয় দেখা যাচ্ছে, ১২ জানুয়ারি ২০২৩।
ফ্রি বার্মা রেঞ্জারস এর দেওয়া এই ছবিতে মিয়ানমারের ক্যারেন অঙ্গরাজ্যের মুত্রাও ডিস্ট্রিক্ট এর লে ওয়াহ এর একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত বিদ্যালয় দেখা যাচ্ছে, ১২ জানুয়ারি ২০২৩।

অন্তত ১৩টি দেশের কোম্পানী মিয়ানমারকে তাদের অস্ত্র উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছে, যেই অস্ত্রগুলোকে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে নির্যাতন চালাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এমন তথ্যের সন্ধান পেয়েছেন।

স্পেশাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল ফর মিয়ানমারের সোমবারে প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনটিতে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে ক্ষমতা দখলের পর থেকে কিভাবে দেশটি তাদের অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। ঐ ক্ষমতা দখলের ফলে মিয়ানমারে সামরিক সরকারবিরোধী এক ব্যাপক গণআন্দোলন আরম্ভ হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের কোম্পানীগুলো সামরিক সরবরাহ ব্যবস্থাকে সহায়তা করছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। প্রতিবেদনটিতে ঐসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনে সহায়তা না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্ত্রশিল্প খাতের উত্থান এমন সময়ে ঘটল, যখন কিনা বিভিন্ন দেশ অস্ত্রের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বা অস্ত্র বাণিজ্য বা উৎপাদনের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানীগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

মিয়ানমারে কোন বেসরকারি অস্ত্র উৎপাদনকারী নেই। অর্থাৎ এমন ধরণের যে কোন কোম্পানীই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও প্রতিরক্ষা শিল্প অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত বলে, প্রতিবেদনে বলা হয়।

তাতে বলা হয়, তা সত্ত্বেও স্থানীয় কারখানাগুলো লাইসেন্সকৃত প্রযুক্তি ও বিদেশী সরবরাহ ব্যবস্থা, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অন্যান্য সহায়তার উপর নির্ভর করতে পারে, যা কিনা অনেক সময়ই উন্নয়ন বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরঞ্জামাদি সিঙ্গাপুর ও তাইওয়ানে পাঠানোর মাধ্যমে করা হয়।

গত বছর মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনারের দফতরের এক প্রতিবেদনে সেই সংযোগগুলোর কয়েকটি তুলে ধরা হয়েছিল। তাতে রাশিয়া, চীন, ইউক্রেন, ইসরাইল, সিঙ্গাপুর ও ফিলিপাইনের কোম্পানীদের নাম উল্লেখ করা হয়।

অভ্যন্তরীন অস্ত্রনির্মাণ শিল্পের উত্থানের ক্ষেত্রে অবদান রাখা একটি বড় কারণ হল যে, নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধের ফলে অস্ত্র, সামরিক বিমান ও অন্যান্য অস্ত্রের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ছোট ও হালকা অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী বর্তমানে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছে বলে, প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।


XS
SM
MD
LG