ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট এনগুয়েন জুয়ান ফুক মঙ্গলবার, সরকারের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। বেশ কয়েকটি বড় ধরনের দুর্নীতি কেলেঙ্কারির জন্য তাকে দায়ী করা হয়েছে।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির একটি অধিবেশনে তিনি পদত্যাগ করেছেন। অধিবেশনটি "কমরেড এনগুয়েন জুয়ান ফুকের পদ থেকে বিরত থাকা, কাজ ছেড়ে দেওয়া এবং অবসর গ্রহণের ইচ্ছা সম্পর্কে বিবেচনা ও মতামত দেওয়ার জন্য" অনুষ্ঠিত হয়। ঘোষণাটির ভাষা দৃঢ়ভাবে ইঙ্গিত দেয়, তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
৬৮ বছর বয়সী ফুক ১৯৭৯ সালে প্রাদেশিক পর্যায়ে সরকারে দায়িত্ব পালন শুরু করেন এবং ২০০৬ সালে প্রথম জাতীয় সরকারে স্থান পান। তিনি ২০১১ সালে পার্টির সর্বোচ্চ পদমর্যাদা নিয়ে পলিটব্যুরোতে যোগ দেন। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জাতীয় পরিষদ কর্তৃক দলটির সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। কমিউনিস্ট পার্টির সবচেয়ে শক্তিশালী পদ, সাধারণ সম্পাদক পদটি বর্তমানে এনগুয়েন ফু ত্রং এর দখলে রয়েছে। যিনি ২০২১ সালে বিরল তৃতীয় বারের মতো পাঁচ বছরের মেয়াদে ঐ পদে নির্বাচিত হন। দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে তার দ্বিতীয় মেয়াদে ,দুই সাবেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং হ্যানয়ের সাবেক মেয়রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সরকারি বিবৃতিতে কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফুকের প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়।
ফুক যে পদগুলি ত্যাগ করেন তার মধ্যে পলিটব্যুরো সদস্যপদ, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী কমিটি এবং জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান পদও অন্তর্ভুক্ত।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ফুক ভিয়েতনামকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যখন তাঁর নেতৃত্বে দেশটি বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও অন্তর্ভুক্ত হয় । কভিড-১৯ বিশ্বে আঘাত হানার আগ পর্যন্ত ৭% অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছিলেন।