চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের কনটেইনার ভেঙ্গে এক বাংলাদেশি কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিশোর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খালি কনটেইনারের ভেতর লুকিয়ে মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরে পৌঁছায়। পরে তার চিৎকার শুনে জরুরিভিক্তিতে জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানোর পর কনটেইনার ভেঙ্গে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যে জাহাজের কনটেইনারে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে সেটি হলো হংকংভিত্তিক ‘এমভি ইন্টেগ্রা’। জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেড।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইন্টিগ্রেটররা জাহাজটি কনটেইনার ভর্তি করে ১২ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার কেলাং বন্দরের সাগরে পৌঁছে। এরই মধ্যে জাহাজটির একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে জাহাজের নাবিকেরা চিৎকার শুনতে পান। পরে জরুরিভিক্তিতে জাহাজ ক্লাং বন্দরে ভিড়িয়ে কনটেইনার থেকে কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশি এ কিশোর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার নাম-পরিচয় ও ঠিকানাসহ বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে খালি কনটেইনারে করেই কিশোরটি ক্লাং বন্দরে পৌঁছেছে। কিন্তু সেই খালি কনটেইনারে ডিপো থেকে উঠল নাকি বাইরে থেকে এসেছে আমরা এখনো তা জানি না। তবে সে (কিশোর) বাংলায় অস্পষ্টভাবে কথা বলছিল’।
তিনি আরও বলেন, ‘জাহাজের ক্যাপ্টেন বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে মালয়েশিয়ার পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ নিশ্চিত হয়েই খালি কনটেইনারটি শনাক্ত করে। পরে জাহাজ জেটিতে ভিড়িয়ে কনটেইনার খুলে কিশোরকে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। সে জীবিত আছে এটাই শুকরিয়া’।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার আরেক বন্দর পেনাংয়ে যাওয়া জাহাজের কনটেইনার ভেতর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।