জার্মানির পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ড. বার্বেল কোফলার বলেছেন, বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুত সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করবে জার্মানি।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) বার্লিনের স্থানীয় সময় বিকেলে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভায় এ সহযোগিতার কথা জানান।
সভায় জার্মান মন্ত্রী কোফলার বাংলাদেশে তাদের সহযোগিতায় চলমান প্রকল্পের সাফল্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে জলবায়ু অভিযোজনে চলমান সহযোগিতা আরও বাড়ানোর আশ্বাস দেন।
আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের কৃষিখাতে গত ১৪ বছরে অর্জিত অভাবনীয় সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিশ্বে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় এবং আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। আম, কাঁঠাল ও পেঁপেসহ অনেক ফল বহু দেশে রপ্তানি হচ্ছে’।
জার্মানিসহ ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের উৎপাদিত উদ্বৃত্ত ফল ও সবজি রপ্তানিতে জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। বিশেষ করে কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিকমানের অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব স্থাপন, উত্তম কৃষি চর্চার (জিএপি) বাস্তবায়ন এবং কৃষিতে জলবায়ু অভিযোজন সক্ষমতা বাড়াতে জার্মানির সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বার্লিনের বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম ও জাভেদ ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের (বিএমইএল) আয়োজনে চার দিনব্যাপী (১৮-২১ জানুয়ারি) ১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার (জিএফএফএ) এবং কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নিতে আবদুর রাজ্জাক বুধবার দুপুরে বার্লিনে পৌঁছান। কৃষি-খাদ্যবিষয়ক বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ সম্মেলনটি প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়। এবারের সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন।
'ফুড সিস্টেম ট্রান্সফর্মেশন: এ ওয়ার্ল্ডওয়াইড রেসপন্স টু মাল্টিপল ক্রাইসেস' শিরোনামে শুরু হওয়া এ সম্মেলনে আগামী চার দিনে অংশগ্রহণকারী দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কৃষিমন্ত্রীরা আলোচনা করে একটি ‘যৌথ ইশতেহার’ (কমিউনিক) ঘোষণা করবেন।