অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মিয়ানমারে সামরিক বিমান হামলার মধ্যে শরণার্থীরা ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন


মিয়ানমারের ৭৫তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপনে রাজধানী নেপিডো-তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ক্ষেপণাস্ত্র বোঝাই সামরিক ট্রাক দেখা যাচ্ছে, ৪ জানুয়ারি ২০২৩।
মিয়ানমারের ৭৫তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপনে রাজধানী নেপিডো-তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ক্ষেপণাস্ত্র বোঝাই সামরিক ট্রাক দেখা যাচ্ছে, ৪ জানুয়ারি ২০২৩।

মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের চিন অঙ্গরাজ্যে দেশটির সামরিক বাহিনী বিমান হামলা তীব্রতর করার ফলে শত শত শরণার্থী নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছেন। একটি শরণার্থী সাহায্য সংস্থা বুধবার ভিওএ-কে এ কথা জানায়।

চিন হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (সিএইচআরও) এর তথ্যমতে, ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্রোহী শিবিরে মিয়ানমারের বিমান হামলার পর গত সপ্তাহে অন্তত ২০০ চিন শরণার্থী সীমান্ত পার হয়েছে।

সিএইচআরও এর কার্যক্রম ব্যবস্থাপক, সালাই ম্যাং হ্রি লিয়ান টেলিফোনে ভিওএ-কে বলেন, “এই মাসের প্রথমার্ধে মিয়ানমারের জান্তা চিন অঙ্গরাজ্যে চারবার বিমান হামলা চালিয়েছে।

সংগঠনটি “২০২১ এর ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর সর্বমোট ১৪টি বিমানহামলার” খবর জানিয়েছে। সংগঠনটি চিন এর মানুষজনের এবং মিয়ানমারের অন্যান্য নির্যাতিত ও প্রান্তিক মানুষের অধিকার রক্ষা ও সমুন্নত রাখতে কাজ করছে।

সর্বসাম্প্রতিক এই বিমানহামলাটি মিয়ানমারের জান্তার বিমানবাহিনী জানুয়ারির ১০ ও ১১ তারিখে ক্যাম্প ভিক্টোরিয়াকে লক্ষ্য করে চালায় বলে জানা গিয়েছে। ক্যাম্প ভিক্টোরিয়া চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) এর সদর দফতর। সিএনএফ চিন অঙ্গরাজ্যের একটি জাতিগোষ্ঠীগত প্রতিরোধ সংগঠন।

সিএইচআরও এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে জান্তার বিমানহামলার সময়ে দুইটি বোমা সীমান্তে ভারতের দিকে মিজোরাম প্রদেশে পড়ে। ঐ প্রদেশে হাজার হাজার চিন শরণার্থী নিরাপত্তার সন্ধানে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।

এখনও পর্যন্ত নয়াদিল্লী বা মিজোরাম থেকে বিমানহামলা বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

সিএইচআরও জানিয়েছে যে, গত বছরের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে চিন এর ৫২,০০০ এরও বেশি বেসামরিক মানুষজন ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৪,০০০ জন মিজোরামে বসবাস করছেন এবং প্রায় ৮,০০০ জন নয়াদিল্লীতে রয়েছেন।



XS
SM
MD
LG