অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তানের সাথে তেল সরবরাহ চুক্তি ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’: রাশিয়া


রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের কোজমিনো বন্দরের তেল রফতানি টার্মিনালে একটি ট্যাংকার জাহাজ নোঙর করে রয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯। (ফাইল ফটো)
রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের কোজমিনো বন্দরের তেল রফতানি টার্মিনালে একটি ট্যাংকার জাহাজ নোঙর করে রয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯। (ফাইল ফটো)

রাশিয়া শুক্রবার জানিয়েছে যে, অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য সরবরাহে রাশিয়া পাকিস্তানের সাথে এক “নীতিগত সমঝোতায়” পৌঁছেছে। এ সময়ে উল্লেখ করা হয় যে, দুইপক্ষই সম্মত হয়েছে যে এর মূল্য “বন্ধুসুলভ দেশগুলোর মুদ্রায়” পরিশোধ করা হবে।

সফররত রুশ জ্বালানী মন্ত্রী নিকোলায় শুলগিনভ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত আন্তঃসরকার কমিশনের বার্ষিক সম্মেলনে পাকিস্তানের জ্বালানী মন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর, এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাটি দেন।

শুলগিনভ বলেন, “পরিবহন, বীমা, মূল্য পরিশোধ ও পরিমাণের বিষয়গুলো সমাধানকল্পে একটি চুক্তির খসড়া তৈরি করতে আমরা ইতোমধ্যেই সম্মত হয়েছি। এই বিষয়গুলো চুক্তির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।”

রুশ ঐ মন্ত্রী বলেন, “আমরা ইতোমধ্যেই মার্চের শেষ নাগাদ এই চুক্তির একটি সময়রেখা নির্ধারণ করেছি। এবং আমরা সম্মত হয়েছি যে মূল্য পরিশোধটি বন্ধুসুলভ দেশের মুদ্রায় করা হবে।” তিনি আর বিস্তারিত কিছু বলেননি।

তেল ও জ্বালানী পাকিস্তানের আমদানির বৃহত্তম অংশ। দেশটি বর্তমানে এক চরম লেনদেন ভারসাম্য সংকটের মধ্যে রয়েছে। পাকিস্তানের বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ সাম্প্রতিক সময়ে ৪৬০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে, যা কিনা কোনমতে তিন সপ্তাহের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট মাত্র। এই আমদানির বেশিরভাগই জ্বালানী তেল।

পাকিস্তান ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার জ্বালানী তেলের বৃহৎ আমদানিকারক না। পাকিস্তানের বেশিরভাগ জ্বালানী তেলই সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসে।

পাকিস্তানের কনিষ্ঠ তেলমন্ত্রী, মুসাদিক মালিক-কে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার ও স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো শুক্রবার জানায় যে, পাকিস্তান প্রতিবছর ৭ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ক্রয় করে এবং তারা এর ৩৫% রাশিয়া থেকে আমদানি করতে চায়।


XS
SM
MD
LG