অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কয়লার অভাবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ, খুলনা অঞ্চলে লোডশেডিং


 রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।(ফাইল ছবি)
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র।(ফাইল ছবি)

শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা অর্ধেক হ্রাস পায়। এই অল্প চাহিদার মধ্যেও বাংলাদেশের খুললনা অঞ্চলে লোডশেডিং করতে হচ্ছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো)। ওজোপাডিকো জানিয়েছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকায়, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রেও উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) অফ-পিক আওয়ারে খুলনায় লোডশেডিং ছিলো প্রায় ২৪ মেগাওয়াট। আর পিক আওয়ারে লোডশেডিং ছিলো ৪ মেগাওয়াট। শুক্রবার সকালে (২০ জানুয়ারি) লোডশেডিং ছিলো ৫ মেগাওয়াট।

জানা গেছে, কয়লার অভাবে গত আটদিন ধরে বন্ধ রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এই ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে নিয়মিত ৫৬০ থেকে ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছিল কেন্দ্রটি। উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে ৪৬০ মেগাওয়াট ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২০০ মেগাওয়াট খুলনাসহ ওজোপাডিকোতে সরবরাহ করা হচ্ছিল। গত ১৪ জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খুলনা এবং আশপাশের ২১টি জেলায়।

১৭ ডিসেম্বর থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। শুরুর ২৭ দিনের মাথায় ১৪ জানুয়ারি সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত উৎপাদনের জন্য এই কেন্দ্রে যে কয়লা প্রয়োজন, তা আমদানি করা হতো ইন্দোনেশিয়া থেকে। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করা যাচ্ছে না। চলতি বছরের জুনে এ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কয়লা সংকটে তাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)-এর উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এর আগে জানিয়েছিলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার না দেওয়ায় কয়লা আমদানি করা যায়নি। ইন্দোনেশিয়ায় কয়লাবোঝাই একটি জাহাজ প্রস্তুত আছে। ঋণপত্র পেলে জাহাজটি বাংলাদেশের পথে রওনা হবে। আমরা দ্রুত সংকট নিরসনের চেষ্টা করছি।”

XS
SM
MD
LG