অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

পাকিস্তানের সাংবাদিক নিখোঁজ: পাঁচ মাস পরও প্রশ্নের জবাব পাননি তাঁর স্ত্রী


২০২২ সালের শুরুর দিকে মালয়েশিয়ার লাংকাওয়ি-তে নিজ স্ত্রীর সাথে সৈয়দ ফাওয়াদ আলী শাহ এর একটি ছবি।
২০২২ সালের শুরুর দিকে মালয়েশিয়ার লাংকাওয়ি-তে নিজ স্ত্রীর সাথে সৈয়দ ফাওয়াদ আলী শাহ এর একটি ছবি।

গত আগস্টে একদিন রাতে যখন তার স্বামী প্রত্যাশিত সময়ে তাকে ফোন করেননি, তখনই সৈয়দা বুঝতে পেরেছিলেন যে কিছু একটা ঘটেছে।

মালয়েশিয়ায় নির্বাসনে বসবাসকারী পাকিস্তানের সাংবাদিক সৈয়দ ফাওয়াদ আলী শাহ কোনদিনই তাদের দৈনন্দিন ফোনটি করতে ভুলতেন না। কিন্তু উত্তর খুঁজতে সৈয়দার প্রচেষ্টাগুলো সত্ত্বেও, তিনি পাঁচ মাস ধরে তার স্বামীর কোন খোঁজ পাননি।

মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের কাছে সৈয়দার উত্তরের অনুরোধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নীরবতা ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি। ভিওএ-কে তিনি বলেন, “এটি মানসিক অত্যাচার”। তিনি শুধু তার প্রথম নামটি ব্যবহার করতে ভিওএ-কে অনুরোধ করেন।

সৈয়দার ২০২২ সালের বসন্তে তার স্বামীর সাথে শেষবারের মত দেখা হয়েছিল। তখন তিনি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। ২২ আগস্টে এক ফোনকলের সময়ে সৈয়দা শেষবার তার স্বামীর কন্ঠস্বর শোনেন।

৪ জানুয়ারি তার স্বামীর পরিণতি সম্পর্কে প্রথম আভাসটি পাওয়া যায়। সেদিন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুটিয়ন ইসমাইল এক সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন যে, ‍কুয়ালালামপুরে অবস্থিত পাকিস্তানের হাইকমিশনের অনুরোধে শাহকে আগস্টে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মালয়েশিয়া বলে যে, পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল যে, শাহ একজন পুলিশ কর্মকর্তা যার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সৈয়দা বলেন যে, তার স্বামী কখনোই পুলিশে কাজ করেননি। সৈয়দা বাণিজ্যের অধ্যাপক, যিনি পাকিস্তানে থাকেন ও কাজ করেন।

তবে, মালয়েশিয়া যদিও বলছে যে ঐ সাংবাদিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তবুও প্রশ্ন রয়েই যায়। সবচেয়ে স্পষ্ট প্রশ্নটি হল: শাহ কোথায়?

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা সৈয়দাকে বলেছেন যে, তার স্বামী পাকিস্তানে নেই। তবে গণমাধ্যম অধিকার বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে, পাকিস্তানই তাকে আটক রেখেছে।

পাকিস্তান ও মালয়েশিয়ার কর্মকর্তা ও দূতাবাসের কাছ থেকে মন্তব্য পাওয়ার ভিওএ’র চেষ্টাগুলো সফল হয়নি।

XS
SM
MD
LG