অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: মির্জা ফখরুল


জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সরকার জাতীয় সংসদকে ‘একদলীয় ক্লাবে’ পরিণত করেছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানী ঢাকায়, জাতীয় প্রেসক্লাবে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তারা (সরকার) সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। তারা কি সংসদ গঠন করেছে? তারা একদলীয় ক্লাব তৈরি করেছে। এটা আওয়ামী লীগের ক্লাব।” নির্বাচনী ব্যবস্থাকে গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার জন্য সংসদ ও মন্ত্রিসভা গঠন করার কথা। কিন্তু তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষ এখন ভোট দিতে যায় না।”

“আওয়ামী লীগ ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে এবং ভোট ডাকাতি ও ভোটের আগের রাতে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করেছে। তারা সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে তাদের পক্ষে নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে;” অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন যে তাদের দল বিএনপি রাষ্ট্রের সংস্কার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করার জন্য ২৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, “২৭ দফা রূপরেখা বিএনপির স্বপ্ন এবং আমরা তা জনগণের সামনে তুলে ধরব। স্বপ্ন ছাড়া কখনোই সফল হওয়া যায় না। আমরা স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাব।” তিনি বলেন যে তাদের ১০ দফা প্রস্তাবের প্রথম দাবি হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা, যা পরবর্তী নির্বাচন তত্ত্বাবধান করবে।

তিনি গণতন্ত্র ও জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধার এবং দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন বলে বিএনপি নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, “সরকার গোটা বিচার ব্যবস্থাকে রাজনীতিকরণ করেছে। জনগণকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করেছে।” তিনি বলেন, “মিডিয়া এখন স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে না। কারণ তারা স্ব-সেন্সরশিপ প্রয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছে। প্রতিটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠানে একজন গোয়েন্দাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা নির্দেশ করে কী লিখতে হবে, শিরোনাম তৈরি করতে হবে এবং কোনটিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং কোনটিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে না।”

XS
SM
MD
LG