সোমবার দক্ষিণ সুদানের একটি বাস স্টেশনে সশস্ত্র ব্যক্তিরা গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। সেখানকার কর্মকর্তারা এ সংবাদ জানান। এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ সেখানে এক মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
দক্ষিণ কোর্দোফান, প্রদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাদেশিক রাজধানী কাদুগলিতে হামলায় অন্তত আরও ৪ জন আহত হয়েছেন।
কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, হামলার শিকার ব্যক্তিরা সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ নামে পরিচিত একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যাচ্ছিলেন। সে সময় এ হামলার এই ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ কোর্দোফানের ভারপ্রাপ্ত প্রাদেশিক গভর্নর মুসা গাবের মাহমুদ এই হামলাকে “দুর্ভাগ্যজনক” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রদেশে “নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের কোনো প্রচেষ্টাই ছাড়বে না।”
তিনি বলেন, সোমবার দক্ষিণ সুদানের সীমান্তবর্তী দক্ষিণের প্রদেশজুড়ে জরুরি অবস্থা কার্যকর করা হয়েছে।
আবদেল আজিজ আল-হিলুর নেতৃত্বে সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট-নর্থ নুবা পর্বতসহ ওই প্রদেশের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা কয়েক দশক ধরে সুদানের রাজধানী খার্তুমে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
তার তিন দশকের নিপীড়নমূলক শাসনের বিরুদ্ধে সংঘটিত ব্যাপক জনসমর্থন পাওয়া বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের এপ্রিলে দীর্ঘদিনের ক্ষমতাশালী নেতা ওমর আল-বশিরকে অপসারণের পরে সামরিক বাহিনী এবং গোষ্ঠীটির মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি হয়।
২০২১ সালের অক্টোবরে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অপসারণের পর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় যা সমগ্র দেশকে আরও বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত করে।