অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ক্যাসিনো পরিচালনা: মমিনুল সাঈদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট, আত্মসমর্পণের নির্দেশ


বাংলাদেশের হাইকোর্ট।

বাংলাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় আলোচিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদকে তিন মামলায় আগাম জামিন দেননি হাইকোর্ট। তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে অভিযুক্ত পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আমিন উদ্দিন মানিক জানান, “তিন মামলায় এ সাবেক কাউন্সিলর আগাম জামিন চেয়েছিলেন। আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।” মামলার মধ্যে রয়েছে; চাঁদাবাজি এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের (ক্যাসিনো ও জুয়া খেলায় পরিচালনা) মাধ্যমে ২৪ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৯ টাকা উপার্জন, ৫১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার ও ৬৮ হাজার মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত বিদেশে পাচার।

সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের উপ পরিদর্শক মো. সোহানুর রহমান বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৩০ মে মামলা মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে রাজধানী ঢাকার মতিঝিল থানায় আরেকটি মামলা করেন অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পুলিশ পরিদর্শক রায়হানুল ইসলাম সৈকত।

মামলাটি তদন্ত করে নয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডির উপপুলিশ পরিদর্শক জায়েদ আলী জাহিদ। চার্জশিটে বলা হয়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজসে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের হলরুলে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের বর্ণিত সংঘবদ্ধ অপরাধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।

এছাড়া, ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদের নামে সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগে বলা হয়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্যাসিনো পরিচালনাসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ চার কোটি ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ২৬১ টাকা অর্জন করেছেন তিনি।

XS
SM
MD
LG