কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে গত দুই বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলার ঐতিহ্যবাহী তারিখ পরিবর্তন করা হয়। সামাজিক দূরত্বের মতো কোভিড-১৯ এর নিয়মগুলোর বাধ্যবাধকতা না থাকায়, এ বছরের গ্রন্থমেলা শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ১ ফেব্রুয়ারি তারিখেই। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বাংলা একাডেমির বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণে এবার মেলা চলবে পুরো মাসজুড়ে।
গত ২০২০ সালের পর, প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে মেলার উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রদান করবেন এবং সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। উপস্থিত থাকবেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা।
এবারের বইমেলার জন্য ৬০১ টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১ টি ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর মেলায় ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৭৭৬ টি স্টল বরাদ্ধ দেওয়া হয়।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে অমর একুশে গ্রন্থমেলা কমিটির সম্পাদক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রকাশক ও মেলাপ্রেমীদের পরামর্শ ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা স্টল ও প্যাভিলিয়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে কিছু পরিবর্তন এনেছি। পূর্ববর্তী পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে ৪৮৯টি স্টল এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা যে কোনো কোণ থেকে পুরো মেলার মাঠ দেখতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “ইন্সটিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ার্সের পাশে পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের স্টল বসানো হয়েছে। খাবার দোকানের জন্য দুটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারিত হয়েছে। কোনো অসংগঠিত, খোলা বা সড়কে খাবারের দোকান থাকবে না।”
মেলায় চলবে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। চারটি প্রবেশ পথ ও চারটি প্রস্থান পথ দিয়ে দর্শনার্থীরা চলাচল করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে তারা সকাল ৮টায় মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। রাত সাড়ে ৮টার পর সব প্রবেশপথ বন্ধ থাকবে।