অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ফুলের শহর পেশোয়ার সহিংসতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে


পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পরে একজন সেনা এবং উদ্ধারকর্মীরা ক্ষয়ক্ষতি জরিপ করছেন। ৩১ জানুয়ারি ২০২৩।
পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পরে একজন সেনা এবং উদ্ধারকর্মীরা ক্ষয়ক্ষতি জরিপ করছেন। ৩১ জানুয়ারি ২০২৩।

নাশপাতি, লতাপাতা ও ডালিম গাছের বাগানে ঘেরা পাকিস্তানের পেশোয়ার একসময় “ফুলের শহর” হিসেবে পরিচিত ছিল। শহরটি ছিল একটি বাণিজ্যিক নগরী। এটি দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াকে সংযুক্তকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বত উপত্যকার প্রবেশদ্বারে অবস্থিত।

কিন্তু গত চার দশক ধরে শহরটি প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানে সংঘাতের কারণে এবং বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর ভূ-রাজনৈতিক খেলার ফলে এই অঞ্চল ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদের প্রভাব বহন করছে।

প্রায় ২০ লাখ জনসংখ্যার নগরটি মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গত কয়েক বছরের মধ্যে পাকিস্তানের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক জঙ্গি হামলার পর থমকে গেছে। এর একদিন আগে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী শহরের প্রধান পুলিশ কার্যালয়ের প্রাঙ্গণের ভেতরে একটি মসজিদে আত্মঘাতি বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২২৫ জন আহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই ছিল পুলিশ।

আফগান সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটারেরও কম দূরে (২০ মাইল) পেশায়ার নগরের অবস্থান। এই নগরেই এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তৎকালীর সোভিয়েত ইউনিয়নের (বর্তমানে রাশিয়া) বিরুদ্ধে যুদ্ধরত আফগান মুজাহিদিনদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। নগরটি অস্ত্র এবং যোদ্ধা দিয়ে পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক গোঁড়া ইসলামি জঙ্গি এবং সেই সঙ্গে কয়েক হাজার আফগান উদ্বাস্তু ছিল।

সোমবারের আত্মঘাতী বোমা হামলার আগেও পেশোয়ারে পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোট আকারের বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে।

সাবেক কর্মকর্তা শাহ সতর্কবানী উচ্চারণ করে বলেছেন, টিটিপি আরও হামলা চালাতে পারে। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানকে আফগান তালিবানকে মোকাবিলা করতে হবে এবং তাদেরকে হয়তো টিটিপিকে উচ্ছেদ করার জন্য চাপ দিতে হবে বা তারা আফগান ভূখণ্ড থেকে পাকিস্তানকে আক্রমণ করবে না তা নিশ্চিত করতে হবে।

XS
SM
MD
LG