গত বছর পর্যন্ত পশ্চিম ইউরোপের অনেক দেশের যুদ্ধ অঞ্চলে অস্ত্র পাঠানোর বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন থেকে চলে আসা নীতি ছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন দ্রুতই সে চিত্র বদলে দিয়েছে।
কেউ কেউ সহায়তার জন্য উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ করছে। এই সপ্তাহে সোওল এবং টোকিওতে যাত্রা বিরতির সময়ে নেটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ ইউরোপীয় দেশগুলোর উদাহরণ টেনে জাপান এবং কোরিয়ার প্রতি ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়া শুধুমাত্র পরোক্ষভাবে ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে। অস্ত্র দান করার পরিবর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোকে দক্ষিণ কোরিয়ার তৈরি অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
ইউক্রেনে জাপানের অস্ত্র পাঠানোর সম্ভাবনাও কম হতে পারে।
যদিও জাপান ধীরে ধীরে তাদের শান্তিবাদী বিধিনিষেধ শিথিল করছে, তবে অস্ত্র রপ্তানিতে তাদের আইনি নিষেধাজ্ঞা দক্ষিণ কোরিয়ার তুলনায় কম নমনীয় বলে মনে হচ্ছে।
এই বাধা সত্ত্বেও জাপান ইউক্রেনের অন্যতম কট্টর সমর্থক হয়ে উঠেছে। তারা দ্রুতই রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেয়, ইউক্রেন এবং এর প্রতিবেশীদের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক ও ত্রাণ সহায়তা প্রেরণ করে এবং এমনকি ইউক্রেনে প্রাণঘাতী নয় এমন সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে- এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত কল্পনাতীত ছিল।
যতদিন ইউক্রেনের যুদ্ধ চলতে থাকবে- এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে গোলাবারুদের মজুদ কমতে থাকবে- ততদিন দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয়ার জন্য জন্য অব্যাহত চাপের সম্মুখীন হতে পারে।
বিশেষত ‘এর কারণ উভয় দেশই রক্ষণশীল সরকার দ্বারা পরিচালিত। তারা পশ্চিমের সাথে নিজেদেরকে আরও সঙ্গতিপূর্ণ করার এবং নেটোর সাথে সম্পর্ক গভীর করার চেষ্টা করেছে।