নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, বারবার সরকারের সীমাহীন অনিয়ম ও বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “জনগণ আর বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্যের বোঝা বহন করতে পারবে না”।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা, ভুল নীতির কারণে মানুষ ইতিমধ্যেই অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী, অদ্ভুত ও অন্যায় সিদ্ধান্ত”।
তিনি বলেন, “মাত্র ১৯ দিন আগে সরকার খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। ১৯ দিন পরই খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আরও বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ”।
নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করে তিনি বলেন, “মানুষ আর এই বোঝা বহন করতে পারবে না”।
মির্জা ফখরুল বলেন, “বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, ভোজ্যতেল, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বারবার বাড়িয়ে চলেছে। এ নিয়ে সরকারের কোনো অনুশোচনা নেই। বরং তারা নির্লজ্জভাবে এইসব ভ্রান্ত পদক্ষেপের পক্ষে মিথ্যা কথা বলছে”।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে ১১ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে।
তিনি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের হাত থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির শুল্ক বৃদ্ধির কর্তৃত্ব কেড়ে নেওয়ায় সরকারের পদক্ষেপকে একটি সূক্ষ্ম কৌশল বলেও অভিহিত করেন।
সরকার ও তার অনুসারীদের লুণ্ঠন ও দুর্নীতির কারণেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “জনগণ এখন সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে”।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের ১০ দফা দাবি মেনে নিতে এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তাদের দল ৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সব বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে।
তিনি সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে তাদের কর্মসূচি সফল করে সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান জানান।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি খুচরা দাম বাড়ানোর মাত্র ১৯ দিন পর সরকার মঙ্গলবার খুচরা বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ এবং বাল্ক মূল্য ৮ শতাংশের বেশি বাড়িয়েছে।