বাংলাদেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম প্রতি কেজি ১০২ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২২ টাকা ১৫ পয়সা বাড়িয়ে ১২৪ টাকা ৮৫ পয়সা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সর্বশেষ এই দাম ঘোষণা করেছে।
নতুন মূল্য অনুসারে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২৬৬ টাকা বেড়েছে। এর ফলে একজন খুচরা গ্রাহককে একটি ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার ভ্যাটসহ আগের ১ হাজার ২৩২ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ৪৯৮ টাকায় কিনতে হবে।
বিইআরসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্য মাপের সিলিন্ডারের জন্য এলপিজির দাম সাড়ে ৫ কেজি থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত আনুপাতিকহারে বাড়বে৷
বিইআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, “সৌদি সিপির (চুক্তি মূল্য) বিপুল মূল্য বৃদ্ধির কারণে দাম এত বেশি বেড়েছে। গত মাসে সৌদি সিপি অনুসারে এলপিজির প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ছিল ৫৯৯ ইউএস ডলার ৫৯ সেন্ট। যেখানে বর্তমান মাসের সিপি প্রতি মেট্রিক টনে ১৯০ ডলার ২৫ সেন্ট বৃদ্ধি করে ৭৯০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশি এলপিজি অপারেটররা সাধারণত সৌদি সিপির ভিত্তিতে মধ্যপ্রাচ্যের বাজার থেকে তাদের পণ্য আমদানি করে।
বিইআরসি সিদ্ধান্ত অনুসারে, অটো গ্যাসের (মোটরগাড়ির জন্য ব্যবহৃত এলপিজি) দামও প্রতি লিটারে ১২ টাকা ৩ পয়সা বেড়ে আগের ৫৭ টাকা ৪১ পয়সা থেকে ভ্যাটসহ প্রতি লিটার ৬৯ টাকা ৭১ পয়সা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলপি গ্যাস কোম্পানির বিপণন করা এলপিজির দাম একই থাকবে। কারণ এটি স্থানীয়ভাবে ৫ শতাংশের কম বাজার শেয়ার নিয়ে উৎপাদিত হয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর স্থানীয় বাজারে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসে এলপিজির সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড হলো।
সাধারণত, বিইআরসি চেয়ারম্যান ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসের শুরুতে এলপিজির দাম ঘোষণা করেন।
এবার, বিইআরসি চেয়ারম্যানসহ পাঁচ সদস্যের চারজনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় কোনো প্রেস ব্রিফিং হয়নি।
বিইআরসির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার জন্য নতুন চেয়ারম্যান বা কোনো সদস্য এখনো নিয়োগ করা হয়নি।
