অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সুন্দরবনের আগুনঝরা নদীর বুকে ত্রিকোণ দ্বীপ, টানছে পর্যটকদের


সুন্দরবনের আগুনঝরা নদীর বুকে ত্রিকোণ দ্বীপ, টানছে পর্যটকদের।
সুন্দরবনের আগুনঝরা নদীর বুকে ত্রিকোণ দ্বীপ, টানছে পর্যটকদের।

বাংলাদেশের সুন্দরবনের দুবলার চর মুখী আগুনঝরা নদীর মোহনায় জেগে উঠেছে একটি দ্বীপ। এই দ্বীপটি জেগেছে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে। বন বিভাগ দ্বীপটির নাম দিয়েছে ‘ত্রিকোণ দ্বীপ’। এখনো দ্বীপে নামার উপায় নেই, তবে পর্যটকদের নজড় কাড়ছে এই নতুন গন্তব্য।

সুন্দরবন ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদেরকে দ্বীপটি আকর্ষণ করছে। এটি কেবলই কেওড়া গাছের বন। এখনো দ্বীপে নামার কোনও অবকাঠামো নেই। ঘন বনে ঢাকা দ্বীপে এখনো জোয়ারে প্লাবিত হয়। এ কারণে চরের মাটি নরম ও কর্দমাক্ত। দুই দশক আগেও জাহাজ নিয়ে এ স্থান পার হওয়া ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।নদীর মোহনা ছিল খরস্রোতা। দ্বীপের কারণে এখন স্থানটি ধীরে ধীরে অতিক্রম করতে হয়। বামের নদী আগুনঝরা এখন ভরাট হয়ে কাদার স্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে, আগুনঝরা নদী পার হওয়ার সময় দ্বীপটির নয়নাভিরাম দৃশ্য নজর কাড়ছে পর্যটকদের।

সুন্দরবনে পর্যটকবাহী লঞ্চের সুকানি শফিকুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘদিন সুন্দরবনের বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চালাচ্ছি। আগুনঝরা নদীর এই মোহনাটি ছিল বিশাল ও খরস্রোতা। ২০-২২ বছর হলো দ্বীপটি সৃষ্টি হয়েছে। ধীরে ধীরে এর এক পাশের নদী মরে যাচ্ছে। অপরপাশ এখনও সচল আছে। ক’দিন সচল থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।”

পর্যটক গোলাম হোসেন বলেন, দূর থেকে দেখলে দ্বীপটি ভালোই লাগে। যেন সুন্দরবনের মাঝে আরেক টুকরো সুন্দরবন। যত কাছাকাছি আসে ততই আকর্ষণ বাড়ে। পর্যটক মোমিন মিয়া বলেন, দুবলার চর এলাকায় বিভিন্ন চরের সৌন্দর্যের পাশাপাশি এ দ্বীপটিও বেশ ভালো লাগে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, “দ্বীপটি বেশ পুরানো। এ দ্বীপের কারণে আগুনঝরা নদীর মোহনায় টি ধারা সৃষ্টি হয়েছে। একটিতে নৌযান চলাচল করছে। অপরটি পলি জমে জমে ভরাট হয়ে উঠছে।”

এখানে খননের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানান তিনি। বলেন, “ঐ অংশটিও ভবিষ্যতে গাছপালায় ভরে পরিপূর্ণ জঙ্গলে পরিণত হতে পারে।”

XS
SM
MD
LG