ইথিওপিয়ার টিগ্রায় অঞ্চলের সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোর সাথে দেখা করতে এই সপ্তাহে ওই অঞ্চল সফর করেন, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।
৫ ফেব্রুয়ারি ইথিওপিয়ায় পৌঁছার পর থেকে, গ্র্যান্ডি আমহারার আলেমওয়াচ ক্যাম্পে ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ইরিত্রিয়ান শরণার্থীদের সাথেও দেখা করেছেন।
গত দুই বছরের যুদ্ধে ইথিওপিয়ায় ইরিত্রিয়ান শরণার্থীরা হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। গত বছর ডিসেম্বরে, ইউএনএইচসিআর প্রায় সাত হাজার ইরিত্রিয়ান শরণার্থীকে পশ্চিম টিগ্রায় থেকে আলেমওয়াচে স্থানান্তর করতে অংশীদারদের সহযোগিতা করেছে।
যদিও নভেম্বরে ফেডারেল সরকার এবং টিগ্রায় বাহিনীর মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে টিগ্রায়ে মানবিক সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে, কিন্তু জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সেই সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় মোটেও যথেষ্ট নয়।
গ্র্যান্ডি টুইটারে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলেছেন, শান্তি চুক্তি মানবিক সংস্থাগুলিকে সংঘাত প্রভাবিত উত্তর ইথিওপিয়ার এলাকায় আরও সহায়তা প্রদানের সুযোগ দিয়েছে।
চুক্তির পর থেকে, কেন্দ্রীয় সরকার ওই অঞ্চলে মৌলিক পরিষেবা এবং মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু করেছে। চুক্তির অংশ হিসাবে, টিগ্রায়ের যোদ্ধারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভারী অস্ত্র সমর্পণ করেছে, এবং আমহারা বিশেষ বাহিনী টিগ্রায় অঞ্চল ছেড়ে চলে গেছে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করার জন্য প্রথমবারের মতো টিপিএলএফ নেতাদের সাথে দেখা করেন।