পূর্ব সোমালিল্যান্ডের লাস আনোদ শহরে দুই দিনের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত এবং ১৩০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শহরের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র লাস আনোদ জেনারেল হাসপাতাল সন্দেহজনক মর্টার দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক আহমেদ মোহাম্মদ হাসান বলেন, “আমরা চার দফায় বাইরে থেকে আসা গুলিতে আক্রান্ত হয়েছি। এতে আমাদের কার্যালয়ের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।”
হাসান বলেন, সোমবার ও মঙ্গলবার হাসপাতালটিতে হামলা করা হয় এবং কিছু কর্মী ও রোগী নিরাপত্তার জন্য হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছেন।
সোমালিল্যান্ড ১৯৯১ সালের মে মাসে সোমালিয়া থেকে তাদের বিচ্ছিন্নতা ঘোষণা করে কিন্তু এখনো তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেনি। স্বীকৃতির অভাব সত্ত্বেও সোমালিল্যান্ড স্থিতিশীলতা অর্জন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।
মুখোশ পরা বন্দুকধারীরা স্থানীয় রাজনীতিবিদকে হত্যার পর শহরে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বিরাজ করে। এর পরেই সোমালিল্যান্ড বাহিনী এবং স্থানীয় যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।বহু বছর ধরে চলে আসা ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের মধ্যে এটিই সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা যেটির জন্য কর্তৃপক্ষ আল-শাবাব যোদ্ধাদেরকে দায়ী করে।
সোমালিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মুসে বিহি আবদি এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে “সোমালিল্যান্ডের শত্রু” রয়েছে বলে অভিযুক্ত করেছেন।
সর্বসাম্প্রতিক সংঘর্ষটি পূর্ব সোমালিল্যান্ডের অঞ্চলগুলোর ভবিষ্যত অবস্থা নিয়ে বিরোধের প্রেক্ষিতে সংঘটিত হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের উল্লেখযোগ্য একটি অংশকে সোমালিয়ার সাথে ঐক্যের ব্যাপারটিকে সমর্থন করতে দেখা যায়।
নুহ মিউস বারজেব এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।