উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বুধবার দেশটির সেনাদের সঙ্গে তাদের ব্যারাকে সাক্ষাৎ করেছেন। সেনাবাহিনীর ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের আগে তিনি তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে এই ব্যারাক পরিদর্শনে যান। দেশটির প্রধান সংবাদমাধ্যম রোডং সিনমুন এ খবর জানায়।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার পিপলস আর্মি বা কেপিএ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী। এ উপলক্ষে বড় আকারের সামরিক কুচকাওয়াজ হওয়ার কথা, তবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
মঙ্গলবার এক স্মারক ভোজসভায় কিম জং উন বাহ্যত উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ‘নিরঙ্কুশ শক্তি’ অর্জনের জন্য রাষ্ট্রের সামরিক ঐতিহ্যের প্রশংসা করেন।
রোডং সিনমুন জানায়, কিম কোরিয়ান পিপলস আর্মিকে “বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী” সেনাবাহিনী হিসেবেও প্রশংসা করেছেন। কিম বলেন, তার সেনাবাহিনী “অসাধারণ দায়িত্ববোধ এবং একটি অলঙ্ঘনীয় অতিমানবীয় ইচ্ছাশক্তির প্রতিফলন ঘটাচ্ছে”।
৩৯ বছর বয়সী স্বৈরাচারী এই নেতা উত্তর কোরিয়ার পারিবারিক একনায়কত্ব ব্যবস্থায় তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে তাঁর মেয়ে জু আইকে তৈরি করছেন কি না, তা নিয়ে অনেক বিশ্লেষক চিন্তাভাবনা করছেন। অনেকে বলছেন, পিয়ংইয়ংয়ের বক্তব্যে মেয়েকে অন্তর্ভুক্ত করার সামগ্রিক পরিকল্পনা থেকে বোঝা যায়, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে অর্পণ করা তাঁর উদ্দেশ্য।
বছরের শুরুতে উত্তর কোরিয়া বাণিজ্যিকভাবে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করে। এটি “দ্রুত পারমাণবিক প্রতিআক্রমণ” ক্ষমতাসহ নতুন একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দিকে তাদের অব্যাহত কার্যক্রমের দিকে নির্দেশ করে। এটি সম্ভবত নিরেট জ্বালানিযুক্ত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম হবে যা তাত্ত্বিকভাবে তরল-জ্বালানির তুলনায় দ্রুত কাজ করে।