আফ্রিকা মহাদেশের দেশ বতসোয়ানার সঙ্গে একটি চুক্তি এবং একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোনে দেশটির প্রতিমন্ত্রী লেমোগাং কোয়াপে-এর সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তারা এ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেন। এগুলোর মধ্যে একটি হলো, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত একটি চুক্তি; আর, অপরটি হলো দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সভা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)।
প্রথম আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় সফরে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দুই দিনের সফরে বতসোয়ানায় রয়েছেন। বতসোয়ানায় স্বীকৃত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেমোগাং কোয়াপে শাহরিয়ারের এই সফরকে, সম্পর্ক জোরদার করার পারস্পরিক ইচ্ছার প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেন।
লেমোগাং কোয়াপে বলেন যে বতসোয়ানা ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে এবং সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে পারে। দুই পক্ষই জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথের মতো আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা করছে এবং সংস্থাগুলোতে একে অপরকে সমর্থন করছে। তিনি শিগগির বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বতসোয়ানার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং এমডিজি ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশের অর্জনের পাশাপাশি এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিজেদের নিরন্তর প্রচেষ্টার বর্ণনা দেন।
বাংলাদেশ ও বতসোয়ানার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় পর্যায়ে চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম জানান যে জাতিসংঘের একটি নির্বাচনে দেশটির সরকারের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ। শাহরিয়ার বলেন, “বাংলাদেশ কৃষি ও বস্ত্র খাতে বতসোয়ানার সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা বিনিময় করে নিতে পেরে খুশি হবে। দুই পক্ষই খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য নিশ্চয়তার বিষয়ে সহযোগিতা গড়ে তুলতে পারে।”
বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বতসোয়ানায় কন্ট্রাক্ট ফার্মিং স্থাপনের প্রস্তাব করেন, কারণ বতসোয়ানায় প্রচুর অনাবাদি জমি রয়েছে। এসময় উভয় পক্ষই গ্যাবরোন ও ঢাকায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে সম্মত হয়েছে।
