পাকিস্তান বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে যে তারা আফগানিস্তান নিয়ে এই সপ্তাহে রাশিয়া আয়োজিত বহুপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নেয়নি। পাকিস্তান বলেছে, অন্য অনেক ফোরাম রয়েছে, যেখানে দেশটি আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় আরও কার্যকরভাবে অবদান রাখতে পারে।
বুধবার মস্কোতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের বৈঠকে চীন, ভারত, ইরান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান এবং উজবেকিস্তানসহ ঐ অঞ্চলে দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচ সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে, মস্কোর বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ার ইসলামাবাদের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি বলেন, “তাৎক্ষণিক আহবান করা ঐ বৈঠকে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ,আমাদের এই বিবেচনার আলোকে নেওয়া হয়েছিল যে অন্য ধরণের বৈঠক এবং ফোরাম, যেগুলো আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় গঠনমূলকভাবে অবদান রাখতে পারে, সেগুলোতে পাকিস্তান আরো ভালোভাবে অবদান রাখতে পারে।”
মস্কোর সাথে ইসলামাবাদের সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে যে উত্তেজনাপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিব বছরগুলোতে সেই সম্পের্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। এ সম্পর্কের কারণেই, সংঘাত-বিধ্বস্ত প্রতিবেশী আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য রাশিয়া আয়োজিত সংলাপে অংশ নিতে পাকিস্তানকে উৎসাহ যুগিয়েছিলো
রাশিয়া কেন বুধবারের আলোচনায় আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন ইসলামপন্থী তালিবানকে আমন্ত্রণ জানায়নি, সে সম্পর্কে কিছু উল্লেখ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্র এবং তার নেটো মিত্ররা প্রায় দুই দশক ধরে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই করার পর, আফগানিস্তান সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। ঐ সময় এই সাবেক বিদ্রোহী গোষ্ঠী ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে।
তবে, মানবাধিকার এবং সন্ত্রাস সম্পর্কিত উদ্বেগের কারণে, কোনো বিদেশী সরকার এখনো কার্যত ক্ষমতাসীন আফগান শাসকদেরকে বৈধতা দেয়নি।