কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শনিবার জানান, তার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিমান কানাডার ইউকন অঞ্চলের বেশ উঁচু দিয়ে উড়ে যাওয়া এক “অজ্ঞাত বস্তুকে” ভূপাতিত করেছে। এর একদিন আগে, যুক্তরাষ্ট্র আলাস্কায় একই ধরনের একটি বস্তুকে একই ভাবে ভূপাতিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, নর্থ আমেরিকান এরোস্পেস ডিফেন্স কমান্ড (নোরাড) শুক্রবার সন্ধ্যায় এই বস্তুটিকে আলাস্কার কাছাকাছি জায়গায়, অনেক উঁচুতে চিহ্নিত করে। নোরাড যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার একটি যৌথ সংস্থা; এটি সম্মিলিতভাবে দুই দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করে।
পেন্টাগনের প্রেস সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডারের এক বিবৃতি অনুযায়ী, আলাস্কার এলমেনডর্ফ-রিচার্ডসন যৌথ ঘাঁটি থেকে ২টি এফ-টোয়েন্টি টু যুদ্ধবিমান, আলাস্কা এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের রিফুয়েলিং বিমানের সহায়তায়, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় এই বস্তুটিকে পর্যবেক্ষণ করে। যুদ্ধবিমান দুটি খুব কাছে থেকে বস্তুটির ওপর নজর রাখে এবং এর প্রকৃতি নিরূপণ করতে সময় নেয়। শনিবার এই বস্তুটি কানাডার আকাশসীমায় প্রবেশ করে।
বিবৃতিতে রাইডার বলেন, কানাডার আকাশসীমায় প্রবেশের পরও, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এর ওপর নজরদারি অব্যাহত রাখে। এ পর্যায়ে বস্তুটিকে আরো বিচার-বিশ্লেষন করতে, আগে পর্যবেক্ষণরত বিমানের সঙ্গে কানাডার সিএফ-১৮ ও সিপি-১৪০ বিমান যোগ দেয়।
ট্রুডো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন এবং বাইডেনও এ বস্তুটিকে ভূপাতিত করার নির্দেশ দেন। নোরাডের আওতায় কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানগুলো যৌথ অভিযান শুরু করে। পরে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধবিমান থেকে এআইএম নাইন এক্স ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এই বস্তুটিকে ভূপাতিত করা হয়।
এ ঘটনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-টোয়েন্টি টু যুদ্ধবিমানগুলো গত ৭ দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার আকাশসীমায় ৩টি এই ধরনের বস্তু ভূপাতিত করলো। এই বিস্ময়কর ঘটনাপ্রবাহে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছেন, মাথার ওপর দিয়ে কী উড়ে যাচ্ছে এবং কে এগুলোকে পাঠাচ্ছে।
ট্রুডো জানান, কানাডার বাহিনী ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে এগুলো পরীক্ষা করবে। ইউকন হচ্ছে কানাডার সবচেয়ে পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত টেরিটোরি (অঞ্চল)। এটি কানাডার সবচেয়ে কম জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে অন্যতম।