অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাগরে নিরাপত্তা জোরদার করতে কোস্টগার্ড-এ যুক্ত হবে আধুনিক সরঞ্জাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে রূপকল্প ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১-এর আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা অনুযায়ী, সুনীল অর্থনীতির সুরক্ষা ও সমুদ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, কোস্টগার্ডের জন্য জাহাজ, সরঞ্জাম ও জনবল বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। সোমবার (১৩ ফেব্রয়ারি) রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগরে, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “গভীর সমুদ্রে টহল দেওয়ার জন্য আরও চারটি ওপিভি, ৯টি প্রতিস্থাপনকারী জাহাজ, দুটি মেরিটাইম সংস্করণ হেলিকপ্টার সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই এই বাহিনীতে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, মেরিটাইম সার্ভিলেন্স সিস্টেম, হোভারক্রাফট এবং হাই স্পিড বোট যুক্ত হতে যাচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গভীর সাগরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনতে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান যে ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কোস্টগার্ডকে দক্ষ ও শক্তিশালী করতে, দেশের উপকূলীয় ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্টগার্ড স্টেশন ও ফাঁড়িতে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার সহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোস্টগার্ড এলাকায় আবাসন, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিসিজি বেস অগ্রযাত্রা নামে পটুয়াখালীতে নিজস্ব প্রশিক্ষণ ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে কোস্টগার্ডের জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের জলসীমায় সামুদ্রিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোস্টগার্ড বিশেষ ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উল্লেখ করেন যে এই বাহিনীর মূলমন্ত্র হলো ‘গার্ডিয়ানস অ্যাট দ্য সী। এর অর্থ, এই বাহিনীকে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় জনগণের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষের কাছে প্রকৃত বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

XS
SM
MD
LG