সরকার সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান। শুক্রবার (২৪ ফেব্রয়ারি) রাজধানী ঢাকায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এমন অভিযোগ করেন।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সরকারের হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং দৈনিক দিন কালসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া গণমাধ্যমগুলো পুনরায় চালু করার দাবিতে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সহ সকল 'কালো আইন' বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আপনারা (সরকার) কী শুরু করেছেন? আপনারা সংবিধানের কথা বলছেন। আপনারা আসলে সংবিধান নিয়ে রসিকতা করছেন। সংবিধানে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা লেখা আছে; কিন্তু আপনারা মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা করেন। এই দুটি জিনিস কি একসঙ্গে যায়? সংবিধানে লিখেছেন যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, কিন্তু আপনারা বলছেন কোনো ধর্মের প্রতি আপনাদের পক্ষপাতিত্ব নেই।”
সরকার সংবিধানকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।বলেন, “গণআন্দোলনকে দমন করা অসম্ভব। অতীতে কেউ তা করতে পারেনি। সব বাধা উপেক্ষা করে আমরা এগিয়ে যাব।” বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আরো উল্লেখ করেন যে তাদের দল ক্ষমতায় ফিরলে তারা বর্তমান সরকার অন্যায়ভাবে যেসব সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানে বন্ধ করে দিয়েছে সেগুলো পুনরায় চালু করবে।
তিনি বলেন, “যেসব টিভি চ্যানেল বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, প্রকৃত সাংবাদিকতার স্বার্থে তাদের এ ধরনের চর্চা বন্ধ করা উচিত।”