অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দরিদ্র দেশের চিকিৎসা সেবায় উন্নত দেশের ভূমিকা দরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক


স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
দরিদ্র দেশগুলোর জনগণকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে,উন্নত দেশগুলোর প্রতি জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আয়োজনে (২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বব্যাপী রোগীদের চিকিৎসা নিরাপত্তার ওপর ৫ম আন্তর্জাতিক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। এই সম্মেলনে বিশ্বের ৮০টি দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা অংশ নেন। সম্মেলনে যোগ দিয়ে জাহিদ মালেক এ আহ্বান জানান।

সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এইচ. ই মি. এলিয়ান বারসেত এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সভাপতিত্ব করেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস।

শুক্রবার সকালে সম্মেলনের শেষ দিনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, “বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র ও অসহায়। দরিদ্র দেশগুলো নানারকম খাদ্য সমস্যায় থাকেন, আর খুব একটা মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পান না। এজন্য উন্নত দেশগুলোর উচিত অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে আরো বেশি ও কার্যকর ভূমিকা রাখা। দরিদ্র দেশগুলোর রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা সেবা দিতে, উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র দেশগুলোর হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নত যন্ত্রপাতি কেনা ও প্রশিক্ষণ সেবা বৃদ্ধি করতে, কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্মেলনে আগত ৮০টি দেশের মন্ত্রী, বিশেষ করে সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট এইচ. ই. এলিয়ান বারসেটের নিকট বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করেছিল ১০ লাখের মত। এখন সেই জনগোষ্ঠী সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে ১৪ লাখে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে। এত বড় শরণার্থী শিবিরের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া দুরূহ কাজ। এই শরণার্থীরা দিন দিন স্থানীয় লোকজনের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে। যা সামলাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সুইজারল্যান্ড সহ অন্যান্য দেশের সহযোগিতা একান্ত জরুরি।”

বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে রোগীদের সেবা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জনবল, জবাবদিহি পূর্ণ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা, তথ্যের আদান-প্রদান করার ওপর জোর দেন।সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাদের সঙ্গে কোভিড-১৯ এর করণীয় পরবর্তী বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন এবং ২০২১-২০৩০ সাল ভিত্তিক একশন প্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

XS
SM
MD
LG