বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ১ ও ২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ সহ একাধিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রয়ারি) রাজধানী ঢাকায়, জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মোমেন এ কথা জানান। তিনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উন্নয়ন চাই।”
সাইড লাইন বৈঠক প্রসঙ্গে আব্দুল মোমেন বলেন, “এই মুহূর্তে সবার নাম বলতে পারছি না। তবে ফ্রান্স, সুইডেন ও ভারত ছাড়া আরো দুই থেকে তিনটি দেশের প্রতিপক্ষের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে।” জি-২০-এর ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিংকেনের সঙ্গে কোনো পরিকল্পিত বৈঠক আছে কি না জানতে চাইলে, আব্দুল মোমেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র পক্ষের আমন্ত্রণে তিনি এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। তখন তার সঙ্গে বৈঠক হবে।”
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং ২ মার্চ জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ১ থেকে ২ মার্চ নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অংশ নিতে তিনদিনের ভারত সফর করবেন।
জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই বৈঠকে, বহুপক্ষিকতা জোরদার, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, মাদক বিরোধী পদক্ষেপ, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তা এবং লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় জি-২০-এর এই সম্মেলনে, বাংলাদেশ, মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (এইইউ) তার সভা এবং শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি দেশ হিসাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, “আমরা খুবই সম্মানিত বোধ করছি। যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করা এবং এসডিজির যথাযথ বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্মেলনে বাংলাদেশ মতামত ও পরামর্শ দেবে।” তিনি বলেন, “আমরা আমাদের মতামত এবং পরামর্শ উপস্থাপন করব। আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উন্নয়ন চাই।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লিতে চলতি বছরের ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ১৮তম জি-২০ রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শেখ হাসিনা তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত বছরের ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
জি-২০ নেতাদের বাইরে, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ সাইদ হুসেইন খলিল এল-সিসি, মৌরিতানিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জুগনাউথ, নেদারল্যান্ডস-এর প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটো, নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদু বুহারি, ওমানের রাষ্ট্রপ্রধান সুলতান হাইথাম বিন তারিক, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।