তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ডেভিড মালানের সেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন উইকেটে জয়ী হয়েছে ইংল্যান্ড। মালান অনবদ্য ফর্ম দেখিয়ে সেঞ্চুরি করেন। ওয়ানডেতে এটি ছিল মালানের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
বুধবার (১ মার্চ) ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ম্যাচের পরে, বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, সফরকারী ইংল্যান্ড দলের জন্য জয় আরও কঠিন করতে তাঁর দলের স্কোর বোর্ডে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ রান বেশি করা উচিত ছিল। মাঝের ওভারে দ্রুত উইকেট হারানোর জন্য তিনি আফসোস করেন।
২১০ রানের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে ইংল্যান্ডের জুটি ওপেনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের কাছে ধরাশায়ী হয় এবং ৩৮ ওভার ৫ বলে তারা ৭ উইকেট হারায়। জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছতে তাদের তখনো ৪৯ রান দরকার ছিল।
সকলের দৃষ্টি ছিল মালানের দিকে। যিনি ছিলেন সফরকারীদের একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার। মালান আদিল রশিদের সঙ্গে ৫১ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে ম্যাচটি জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান।
বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম তিন বছরের মধ্যে ঘরের মাঠে তাঁর প্রথম ওয়ানডে খেলে তিনটি উইকেট নিতে সক্ষম হন। কিন্তু প্রতি ওভারে দিয়েছেন ৫ দশমিক ৪ রান। এ ছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ নেন দুটি উইকেট।
এর আগে, তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের মধ্যে উদ্বোধনী জুটি মাত্র ৩৩ রান করে। লিটন ৭ রানে আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ একটি নড়বড়ে শুরু করেছিল। এর পরে তামিমও দ্রুত আউট হন।
মার্ক উড ও ক্রিস ওকস বাংলাদেশের ওপেনারদের একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেন।
মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানও দ্রুত আউট হন। মুশফিক মাত্র ৩৩ বলে ১৭ রান করতে সক্ষম হন।
নাজমুল হোসেন শান্ত ৩১তম ওভারে ৫৮ বলে তাঁর প্রথম ওয়ানডে হাফ সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্থিতিশীলতা আনেন।
বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি ৪৮ বলে ৩১ রান করেন। তবে ক্রিজে তাঁকে কখনোই স্বাচ্ছন্দ্যময় দেখায়নি।
উড ইংল্যান্ডের পক্ষে অসাধারণ পারফরমার ছিলেন। ৮ ওভারে ৩৫ রানে দুই উইকেট নেন। মঈন আলী, জোফরা আর্চার ও আদিল রশিদও দুটি করে উইকেট নেন।
শুক্রবার (৩ মার্চ) একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমে জয়ী হলেই সিরিজ জেতার সুযোগ পাবে সফরকারীরা। আগামী ৬ মার্চ চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।