অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ব্রিটেন চ্যানেল পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের জন্য আশ্রয় নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা প্রকাশ করবে


ব্রিটেনের ডোভারে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় উদ্ধারের পরে অভিবাসীরা সীমান্ত বাহিনীর একটি জাহাজে করে ডোভার বন্দরে পৌঁছে। ( ২৪ শে আগস্ট, ২০২২)
ব্রিটেনের ডোভারে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় উদ্ধারের পরে অভিবাসীরা সীমান্ত বাহিনীর একটি জাহাজে করে ডোভার বন্দরে পৌঁছে। ( ২৪ শে আগস্ট, ২০২২)

ব্রিটেন সরকার নৌকায় করে ব্রিটেনে আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য একটি নতুন আইনের বিশদ বিবরণ নির্ধারণ করে একটি প্রস্তাব করবে। কিছু শরণার্থী দাতব্য সংস্থা বলছে, এটি অবাস্তব হবে এবং হাজার হাজার প্রকৃত শরণার্থীদের প্রচেষ্টাকে অপরাধে পরিণত করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত বছর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার পর নৌকা আসা বন্ধ করাকে তার পাঁচটি প্রধান অগ্রাধিকারের মধ্যে একটি করে তুলেছেন।

মঙ্গলবার সান ট্যাবলয়েড পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে সুনাক লিখেছেন, নতুন এই আইনের ফলে যদি কেউ ছোট নৌকায় করে আসেন, তাহলে তাদের আশ্রয় দাবি করা থেকে বিরত রাখা হবে। তাদের তথাকথিত নিরাপদ তৃতীয় কোন দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

দ্য রেফিউজি কাউন্সিল দাতব্য সংস্থা বলেছে, হাজার হাজার প্রকৃত শরণার্থী, যাদের আগে আশ্রয় দেওয়া হতো, তাদেরকে এই পরিকল্পনার আওতায় “অপরাধীদের মতো আটকে রাখা হবে”। জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনের আওতায় ব্রিটেনের অঙ্গীকারকে যা “ভেঙে দেবে”।

কনভেনশনটি আশ্রয়প্রার্থীরা কোনও দেশে যেভাবেই আসুক তাদের জন্য একটি ন্যায্য শুনানির সুযোগ প্রদান করে।

গত এক দশকে কিছু এলাকায় অভিবাসন নিয়ে ক্ষোভ ব্রিটিশ রাজনীতিতে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। ২০১৬ সালের গণভোটের আগে ব্রেক্সিটের পক্ষে সমর্থন বাড়ানোর হাতিয়ার হিসাবে প্রচারকারীরা সফলভাবে এটি ব্যবহার করেছিলেন।

সুনাক বলেন, “যারা বৈধভাবে এখানে আসে তাদের প্রতি এটা অন্যায্য আচরণ। যথেষ্ট হয়েছে।“

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ছোট নৌকায় করে যারা আসেন তাদের মাত্র দুই-তৃতীয়াংশকে আশ্রয় বা অন্য কোনো ধরনের মানবিক সুরক্ষা দেওয়া হয়।

যদিও ২০২২ সালে ব্রিটেনে আশ্রয়ের জন্য আবেদনের সংখ্যা ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রায় ৭৫ হাজারে পৌঁছেছে। তবে এটি এখনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ে গড়ে কম। জার্মানি গত বছর দুই লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি শরণার্থীর আবেদন পেয়েছে।

সুনাক শুক্রবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে দেখা করবেন। তিনি সম্ভবত ক্রস-চ্যানেলে মানব পাচারের সাথে জড়িত দলগুলো মোকাবেলায় আরও সহযোগিতা চাইবেন।

XS
SM
MD
LG