রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের শহর বাখমুতের পূর্ব অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।আর ইউক্রেনের বাহিনী শহরের পশ্চিম অংশে এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।শনিবার প্রকাশিত ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি গোয়ান্দা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
ব্রিটিশ গোয়ান্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের বাহিনী সুরক্ষিত ভবন থেকে গুলি চালাচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা আরো হয়, “এই এলাকাটি একটি হত্যা অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনের সেনারা ওয়াগনার বাহিনীর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টাকে সম্ভবত অত্যন্ত কঠিন বাধার মুখে ফেলে দিয়েছে।”
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অবশ্য বলেছে, রাশিয়ার বাহিনী উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে ইউক্রেনের বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বাহিনী এবং তাদের পশ্চিমের সরবরাহ লাইনগুলো রুশ বাহিনীর এই চেষ্টার জন্য এখনো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে।
মস্কো বলেছে, বাখমুত দখল, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাস অঞ্চল দখলের একটি পদক্ষেপের অংশ।
এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেন জুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর একদিন পর, শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানীর প্রায় পুরো এলাকায় জ্বালানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। রাশিয়ার ঐ হামলায় অবকাঠামো এবং জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি হয়। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে অন্তত ছয়জন নিহত হয় এবং দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মস্কো বলেছে, বৃহস্পতিবার তারা ইউক্রেনে সামরিক এবং শিল্প লক্ষ্যস্থলে আঘাত হেনেছে, “সেইসাথে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী অবকাঠামোগুলোতেও” হামলা করা হয়।
এদিকে, শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি কিয়েভে ইউক্রেনের একজন বিখ্যাত যোদ্ধা ও কমান্ডার-এর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেন।তিনি বাখমুতের কাছে যুদ্ধে নিহত হন। ২৭ বছর বয়সী দিমিত্রো কোটসিউবাইলো কয়েকদিন আগে সেখানকার যুদ্ধে নিহত হন।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।