বাংলাদেশের সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার চিকিৎসা ভাতা হিসেবে যে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা নিয়েছিলেন, সেই পরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সুপ্রিমকোর্টের একটি রায়ের প্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ আদেশ দেন।
আদেশ অনুযায়ী, আগামী ৯ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাগজ আদালতে জমা দিতে হবে সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে। গত বছর ২৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ তার বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির পাঁচটি মামলা বাতিল করে রায় দেন।
তবে পূর্ণাঙ্গ রায়ে, চিকিৎসা ভাতা হিসেবে উত্তোলন করা অর্থ (২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা) রায়ের কপি বিচারিক আদালত গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়।
সেই রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালতে গত ৬ মার্চ পৌঁছায়। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুযায়ী এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে তার চালান কপি আদালতে দাখিল করা হবে বলে সোমবার (১৩ মার্চ) জানান সাবেক স্পিকারের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ হান্নান ভূঁইয়া।
বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এসএম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন। পরবর্তীতে এই পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে, আদালত অভিযোগ আমলে নেন।
এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।