বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে তার ওপর চাপ দিয়ে কোনো কাজ হবে না, কারণ অতীতেও তিনি অনেক চাপ সহ্য করে এসেছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক কাতার সফরের ফলাফল নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকালে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ অনুভব করছেন কি-না; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এমন কোন চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে।” তিনি বলেন, “আমার শক্তির উৎস দেশের জনগণ। তাই যত চাপই দেওয়া হোক না কেন, তাতে কিছুই হবে না। জনগণের কল্যাণে যা যা করা দরকার আমরা তা করব।”
তার সরকার সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে এবং অনেক চাপ উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “কার সঙ্গে আমরা সংলাপ করবো? ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে আমরা (তাদের সঙ্গে) সংলাপ করেছি। তার ফলাফল কি ছিল? তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া কিছুই করেনি। তারা (বিএনপি) ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ টি সংসদীয় আসনে ৭০০ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। এছাড়া তারা টাকার বিনিময়ে তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।”
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পর তাকে সান্ত্বনা দিতে তিনি তার বাসায় গিয়েছিলেন। ঐ সময় খালেদা জিয়ার বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “এরকম অপমান করার পর তাদের সঙ্গে কিসের বৈঠক? এটা পরিষ্কার কথা। এছাড়া যারা ন্যূনতম সৌজন্য জানেন না তাদের সঙ্গে সংলাপে বসার কী আছে?”
দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, সমস্যা সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রকারীরা এখন আর সফল হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, “অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, কেউ কিছুই করতে পারবে না। কারণ তারা কিছু সময়ের জন্য কিছু সমস্যা তৈরি করতে পারে। আমাদের জনগণ তা প্রতিহত করবে।”
কাতারে সরকারি সফর শেষ করে গত বৃহস্পতিবার বিকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ৪ মার্চ শেখ হাসিনা স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘের পঞ্চম সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারের দোহা যান। কাতারে থাকার সময় তিনি এলডিসি-৫ সম্মেলন, বিভিন্ন সাইড-লাইন ইভেন্ট এবং একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।