তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান শুক্রবার বলেন নেটো সদস্যপদের জন্য ফিনল্যান্ডের আবেদনকে অনুসমর্থন করতে তাঁর সরকার এগিয়ে যাবে এর ফলে সু্ইডেনের আগেই ঐ সামরিক জোটে ফিনল্যান্ডের যোগদানের পথ পরিস্কার হয়ে যাবে।
আংকারায় ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর আংকারা সফরের সময়ে দু দেশের নেতার বৈঠকে এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কয়েক দশকে জোট নিরপেক্ষতাকে পরিত্যাগ করে , ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের প্রেক্ষাপটে ১০ মাস আগে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন উভয়ই নেটোর সদস্য হবার জন্য আবেদন করে।
নেটো তার সম্প্রসারণের জন্য বর্তমান ৩০ টি সদস্য রাষ্ট্রের অভিন্ন অনুমোদন চায়। তুরস্ক ও হাঙ্গেরি হচ্ছে দু’টি মাত্র দেশ যারা ঐ নর্ডিক দেশগুলোর আবেদনকে এখনও অনুমোদন দেয়নি। তুরস্কের সরকার সুইডেন ও ফিনল্যান্ড উভয়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে যে তুরস্ক যাদেরকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে তাদের বিরুদ্ধে এ দু’টি দেশ খুব নমনীয় নীতি অনুসরণ করে। তবে সুইডেনের বিরুদ্ধে তুরস্কের আপত্তিটা আরও বেশি।
নিনিস্তোর সঙ্গে বৈঠকের পর আংকারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, “ ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি পূরণের ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্য করেছি ফিনল্যান্ড যথার্থ ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে”।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “ আমাদের দেশের নিরাপত্তার স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে এবং নেটোতে ফিনল্যান্ডের প্রবেশের প্রটোকলে যে অগ্রগতি হয়েছে , তার ভিত্তিতে আমরা আমাদের সংসদে এই আবেদনকে অনুসমর্থন দানের প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।
এরদোয়ানের এই সম্মতির পর , ফিনল্যান্ডের আবেদনটি এখন তুরস্কের সংসদে উত্থাপন করা হবে আর সেখানে প্রেসিডেন্টের দল এবং তার সমর্থকদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আশা করা হচ্ছে ১৪ই মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনের আগেই ফিনল্যান্ডের আবেদনটি অনুসমর্থন লাভ করবে।
নেটোতে সুইডেনের যুক্ত হবার বিষয়ে তুরস্কের ইচ্ছা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে এরদোয়ান বলেন সেটি , “ নির্ভর করছে সুইডেনের দৃঢ় পদক্ষেপের উপর।
আংকারার দৃষ্টিভঙ্গিতে এই দু’টি নর্ডিক দেশগুলোর পার্থক্য সম্পর্কে, এরদোয়ান দাবি করেন যে সুইডেন, “ সন্ত্রাসবাদকে বেছে নিয়েছিল”। তিনি উদাহরণস্বরূপ স্টকহোমের রাস্তায় রাস্তায় কুর্দি জঙ্গিদের সমর্থকদের বিক্ষোভের কথা বলেন। তিনি বলেন, “ এ জাতীয় কোন বিক্ষোভ ফিনল্যান্ডে হয়না। আর সেজন্যেই সুইডেন থেকে পৃথক করে আমাদের ফিনল্যান্ডের কথা বিবেচনা করতে হচ্ছে”।