অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী


ভারতের নয়াদিল্লিতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বৈঠকের আগে করমর্দন করছেন দুই নেতা৷ শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯। (ফাইল ছবি)
ভারতের নয়াদিল্লিতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বৈঠকের আগে করমর্দন করছেন দুই নেতা৷ শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৯। (ফাইল ছবি)

আন্তঃসীমান্ত ইন্দো-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার বৃদ্ধির অংশ হিসেবে ১৩১ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপ লাইন উদ্বোধন করা হলো।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার (১৮ মার্চ) নবনির্মিত পাইপ লাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। শেখ হাসিনা তার বাস ভবন গণভবন থেকে এবং নরেন্দ্র মোদী নয়া দিল্লিতে তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্লাটফরমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্য, বিশেষ করে ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। এর ১২৬ দশমিক ৫৭ কিলোমিটার বাংলাদেশে এবং বাকি ৫ কিলোমিটার ভারতে বসানো হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিপিসি, ভারতের সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তির আওতায়, আন্তঃসীমান্ত পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রতি বছর আড়াই লাখ টন থেকে চার লাখ টন ডিজেল আমদানি করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

গত ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটির অনুমোদনের পর, এ বিষয়ে চুক্তি সই হয়। বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে, বছরে ৬৬ লাখ টন থেকে ৭৭ লাখ টন ডিজেল আমদানি করতে হয়।

সরকারি নথি অনুসারে, এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে, পেট্রোলিয়ামের পুরো চালান উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামের গোলাঘাটে অবস্থিত ভারতের নুমালিগড় শোধনাগার থেকে আসবে। আর, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর পেট্রোলিয়াম জ্বালানি ডিপোতে এই চালান গ্রহণ করবে বাংলাদেশ।

প্রস্তাবিত পাইপ লাইনের বেশিরভাগ অংশ বাংলাদেশের অংশে হলেও, ভারত সরকার বাংলাদেশ অংশ নির্মাণের জন্য লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) এর অধীনে প্রায় ৩০৩ কোটি রুপি ঋণ দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ তার অংশে পাইপলাইন পরিচালনা করবে এবং ভারত তার অংশে পাইপ লাইন পরিচালনা করবে।

বাংলাদেশ প্রথম তিন বছরে বার্ষিক দুই লাখ ৫০ হাজার টন, চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ বছরে বার্ষিক তিন লাখ টন, সপ্তম থেকে দশম বছরে বার্ষিক সাড়ে তিন লাখ টন এবং ১১তম থেকে ১৫তম বছর পর্যন্ত বার্ষিক চার লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করবে। উভয় পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। বর্তমানে রেলওয়ে ওয়াগন ব্যবহার করে প্রতি মাসে ২২ হাজার টন ডিজেল আমদানি করছে বাংলাদেশ।

এদিকে, শুক্রবার (১৭ মার্চ) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইনের কার্যক্রম ভারত থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি পরিবহনের একটি টেকসই, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ-বান্ধব পরিস্থিতি তৈরি করবে। এটি দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তায় সহযোগিতা আরো বাড়াবে।

এই পাইপ লাইনের বার্ষিক ১০ লাখ টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) পরিবহনের ক্ষমতা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় প্রাথমিকভাবে এইচএসডি সরবরাহ করবে।

XS
SM
MD
LG