ইউক্রেন বিষয়ে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দৈনিক গোয়েন্দা আপডেটে জানা গেছে, রাশিয়া তার সামরিক বাহিনী বাড়ানোর জন্য "সম্ভবত" বৃহত্তর জাল ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাশিয়ার ডুমার ডেপুটিরা ২১ বছর বয়সী পুরুষদের সেনাবাহিনীতে ভর্তির বয়স সীমা ৩০ বছর করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বর্তমানে বয়স সীমা ১৮ থেকে ২৭ বছর।
মন্ত্রক এক হালনাগাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইনটি “সম্ভবত” পাস হবে এবং জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তারা বলেছে, "রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনীতে নতুন ভর্তি সেনাদের ইউক্রেনে অভিযান থেকেই বিরত রেখে চলেছে। যদিও কয়েক শত লোক সম্ভবত প্রশাসনিক মিশ্রণের মাধ্যমে বা চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য হওয়ার পরে কাজ করেছে।"
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সী অনেক পুরুষ তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ছাড় দাবি করছেন।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) শুক্রবার জানায়, তাদের নির্বাহী বোর্ড “ব্যতিক্রমী বড় রকমের অনিশ্চয়তার” মুখোমুখি দেশগুলোকে লক্ষ্য করে তাদের অর্থায়ন নীতিতে পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়েছে।
এই পদক্ষেপটিকে ব্যাপকভাবে ইউক্রেনের জন্য একটি নতুন ঋণ কর্মসূচী খোলার উপায় হিসাবে দেখা হচ্ছে। কারণ রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দ্বিতীয় বছরে প্রবেশ করেছে দেশটি।
এদিকে, ফ্লোরিডা ভিত্তিক অ্যাপ ডেভেলপার এবং ঘুম গবেষণা সংস্থা ড্রিমঅ্যাপ, সম্প্রতি ৭৪৫ জন ইউক্রেনীয় নাগরিকের উপর একটি ঘুমের গুণমান গবেষণা পরিচালনা করে। এটিতে দেখানো হয়, রাশিয়ার আগ্রাসন কীভাবে তাদের ঘুম, স্বপ্ন এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮২ শতাংশের বেশি মানুষ তাদের স্বপ্নের কথা মনে রেখেছেন। ড্রিমঅ্যাপ বলছে, এটি একটি ইঙ্গিত, "উপরিভাগের ঘুম যা সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেয়”।