সুদানের রাজনৈতিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীরা বলছেন, আগামী এপ্রিলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন বেসামরিক সরকারের নাম ঘোষণা করা হবে। বেসামরিক এবং সামরিক উভয় কর্মকর্তারা বুধবার সুদানে বেসামরিক শাসন পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনাবাহিনী দেশটি শাসন করে আসছে। কিন্তু কিছু গোষ্ঠী ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির বিরুদ্ধে রয়েছে এবং সামরিক বাহিনী আসলেই যে কখনো ক্ষমতা ছেড়ে দেবে, এ ব্যাপারে অনেক সুদানীই বেশ সন্দিহান।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাজনৈতিক ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীরা সুদানে একটি বেসামরিক নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার আবারও মিলিত হয়েছিল।
বৈঠকের পরপরই সংবাদদাতাদের সাথে কথা বলার সময়, চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বেসামরিক জোটের সরকারী মুখপাত্র খালিদ ওমর ইউসিফ বলেন, বৈঠকে মূলত একটি নতুন সাংবিধানিক নথির খসড়া তৈরির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়।
তিনি বলেন, নথিটি সুদানে আসন্ন পরিবর্তন পরিচালনার ভিত্তি তৈরি করবে।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণকারীরা বেসামরিক জোট এবং সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধি এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি প্রযুক্তিগত দল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংস্থাটিকে চুক্তিটি পর্যালোচনা এবং সংবিধানের খসড়া তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “বৈঠকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সাধারণ অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এছাড়া বাকি দুটি জটিল বিষয়, অন্তর্বর্তীকালীন বিচার ব্যবস্থা এবং সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্কার নিয়ে আলোচনাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়েরও সমাধান হয়েছে”।
সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণরূপে ক্ষমতা ছেড়ে দেবে, তা যে কোনও চুক্তিই নির্বিশেষই করা হোক না কেন সে ব্যাপারে অনেক সুদানী সন্দিহান ।
তবে, বিরোধী ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইব্রাহিম আল-মেরঘনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এই অবকাঠামোর উপর চলমান আলোচনা হয়তো ইতিবাচক ফল দেবে।
তিনি বলেন, ক্রান্তিকালীন ইস্যু নিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে খুব বেশি মতপার্থক্য নেই। আর মতপার্থক্য থাকলেও সংলাপের উপর তা কোনো প্রভাব ফেলবে না, উল্লেখ করে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেন, এতে করে "দেশে ক্রান্তিকালের সমাপ্তি এবং একটি টেকসই গণতন্ত্রের সূচনা হবে।"