অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মে মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছে থাইল্যান্ড


থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউজে গণমাধ্যমের সদস্যদের সাথে কথা বলছেন; ২০ মার্চ, ২০২৩।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউজে গণমাধ্যমের সদস্যদের সাথে কথা বলছেন; ২০ মার্চ, ২০২৩।

আগামী মে মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করতে, সোমবার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছে থাইল্যান্ড। এই নির্বাচন, সামরিক-সমর্থিত প্রতিষ্ঠান এবং দেশটির রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে চলমান ক্ষমতার লড়াইকে উস্কে দেবে। এই লড়াই, দুই দশক ধরে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে আছে।

সোমবার প্রকাশিত এক রাজকীয় ঘোষণায়, নির্বাচনের আগে রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার একটি ডিক্রি অনুমোদন করেন।পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ৪৫ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এই নির্বাচনে প্রধানত ধনকুবের সিনাওয়াত্রা পরিবার ও তার ব্যবসায়িক সহযোগী এবং দেশটির রাজতন্ত্র সমর্থক সেনাবাহিনী ও সাবেকি ধনবান রক্ষণশীলদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিভিন্ন জনতুষ্টিবাদী নীতির কারণে, থাইল্যান্ডের শ্রমজীবীদের মধ্যে জনপ্রিয় সিনাওয়াত্রা পরিবার নিয়ন্ত্রিত দলগুলো ২০০১ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে।এর মধ্যে দুবার তারা নিরঙ্কুশ বিজয় পায়। তাদের তিনটি সরকারই হয় সামরিক অভ্যুত্থান, নয় আদালতের রায়ে অপসারিত হয়।

মে মাসের নির্বাচনে, পার্লামেন্ট সদস্যরা নির্বাচিত হবেন। তারা, একটি নিয়োগ দেয়া সিনেটের সঙ্গে যৌথভাবে জুলাই মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন।

প্রধান বিরোধী দল ফেউ থাই পার্টির নেতা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা মতামত জরিপে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন। সপ্তাহান্তে প্রকাশিত এক জরিপে তার প্রতি সমর্থন ১০ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৩৮ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছে। এই হার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর সমর্থনের ছেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি।

পেতংতার্ন শুক্রবার বলেছেন, তিনি তার দলের বিরুদ্ধে আরোপিত যেকোনো রাজনৈতিক কৌশল এড়িয়ে নিরঙ্কুশ বিজয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।

XS
SM
MD
LG