অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বহিষ্কার


শওকত মাহমুদ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দল বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সাংবাদিক নেতা ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকতকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শওকতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

গত বছরের এপ্রিলে একই ধরনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিলো শওকত মাহমুদকে। তিনি গত বৃহস্পতিবার লেখক ও কবি ফরহাদ মজহারের সঙ্গে যৌথভাবে কিছু নাগরিক এবং বিরোধী দলের নেতার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন। গত বছরের এপ্রিলে একই অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিলো।

শওকত বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস বা জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির নামে লেখক ও কবি ফরহাদ মজহারের সঙ্গে ঐ নৈশভোজের আয়োজন করেন। ১০ বছর আগে চালু হওয়া এই প্ল্যাটফর্মের সদস্য সচিব শওকত। সংগঠনটির মাধ্যমে তিনি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার গঠনের পক্ষে কথা বলেন। ঐ অনুষ্ঠানে বিএনপির কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না।

সোমবার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রমকে সন্দেহজনক বলে বর্ণনা করেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “শওকত ও মজহার এমন এক সময়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন যখন দলের নেতারা ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করছেন।” তিনি বলেন, “আমরা মনে করি এই সন্দেহজনক সংগঠনের আকস্মিক পুনরুজ্জীবনের পিছনে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হয়েও শওকত এমন একটি সন্দেহজনক সংগঠনের সদস্য সচিব হওয়ায় তারা বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান ঐ বিএনপি নেতা। তিনি বলেন, “শওকত দলের অনুমতি ছাড়াই এ ধরনের প্ল্যাটফর্মে জড়িত থাকায়, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং তাকে এ বিষয়ে আগেও সতর্ক করা হয়েছে।”

XS
SM
MD
LG