অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মোদীকে প্রশ্ন করা বন্ধ করবেন না রাহুল গান্ধী


Iভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী শুক্রবার নয়াদিল্লিতে দলের সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলন করেন; ২৫ মার্চ, ২০২৩।

ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী শনিবার বলেছেন, আদানি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া প্রশ্ন করার কারণে তাকে পার্লামেন্ট-এ অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাহুলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ২০১৯ সালে প্রণীত আইনের আওতায়, মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের জন্য রাহুল গান্ধীকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। এর সঙ্গে আদানি বিষয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।

রাহুল গান্ধী, ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি এবং এখনো তিনিই দলটির প্রধান নেতা। মানহানির মামলায় গুজরাটের একটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দুইবছরের কারাদণ্ড দেওয়ার একদিন পর রাহুল গান্ধী শুক্রবার তার পার্লামেন্টের আসন হারান।

আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন এবং আপিল করার অনুমতি দিয়ে ৩০ দিনের জন্য তার কারাদণ্ড স্থগিত করেন।

রাহুল গান্ধীর একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ঐ মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিলে। অনেকে মনে করেন ঐ বক্তব্যে তিনি মোদীকে অপমান করেছেন। রাহুল গান্ধীর দল এবং তার সহযোগীরা আদালতের রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছে।

নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে রাহুল বলেন, "আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, কারণ আদানি সম্পর্কিত আমার পরবর্তী বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন।“

দোষী সাব্যস্ত ও অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর, জনসমক্ষে প্রথম কথা বলার সময় রাহুল গান্ধী বলেন, "তারা চায় না যে এই বক্তব্য সংসদের রেকর্ড-এ থাকুক, এটাই ইস্যু।“

৫২ বছর বয়সী রাহুল গান্ধী এমন একটি পরিবারের উত্তরাধিকার, যে পরিবার থেকে ভারত তিন জন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে। কেন মোদী তার পরবর্তী বক্তব্য পছন্দ করবেন না সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

বাহুল গান্ধীর দল একসময়ের প্রভাবশালী কংগ্রেস এখন সংসদের নিম্নকক্ষে নির্বাচিত আসনের ১০ শতাংশের এর কম আসন নিয়ন্ত্রণ করছে। পরপর দুটি সাধারণ নির্বাচনে দলটি বিজেপির কাছে পরাজিত হয়েছে। সবশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০১৯ সালে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, আদানির প্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিনিয়োগ এবং কোন পূর্বঅভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও, ছয়টি বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা আদানি গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস।

আদানি গোষ্ঠী সরকারের কাছ থেকে কোনো বিশেষ সুবিধা পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে এবং সরকারের মন্ত্রীরা বিরোধীদের এই ধরনের ধারণাকে "ভিত্তিহীন অভিযোগ" বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা বলেছেন, যে, অন্যায় হয়ে থাকলে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

কংগ্রেস এবং তার বিরোধী দলীয় মিত্ররা এ বিষয়ে সংসদীয় তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

XS
SM
MD
LG