অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন


যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে বাংলাদেশ। রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩।
যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে বাংলাদেশ। রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩।

শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভবিষ্যতের পথ চলার সংকল্পের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় রবিবার (২৬ মার্চ) ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি নিধনে শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট। এমন প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ত্রিশ লাখ শহীদে রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা অর্জন করে।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এর পর, পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলটির সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে কিছুদিন অবস্থান করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলটির পক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গান স্যালুট ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সময় সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়।

বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ওপর চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করে।

মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করা হয় স্বাধীণতা দিবস উপলক্ষে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।

এদিকে দেশের শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। হাসপাতাল, কারাগার, শিশুশ্রম, বৃদ্ধাশ্রম ও ডে-কেয়ার সেন্টারের মতো প্রতিষ্ঠানে পরিবেশন করা হয় বিশেষ খাবার। শিশু পার্ক ও জাদুঘর গুলো সারাদিন সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়।

XS
SM
MD
LG