অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে ডিম এখন আর সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস নয়: ক্যাব


বাংলাদেশে ডিম এখন আর সাশ্রয়ী প্রোটিনের উৎস নয়। কারণ ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়ে এখন ১৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে । ভোক্তা অধিকার গ্রুপ কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ক্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা বলছে, “অস্বাভাবিকভাবে উচ্চমূল্যের কারণে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো ইতোমধ্যেই মুরগির মাংশের ব্যবহারও কমিয়ে দিচ্ছে।”

ক্যাব জানায়, এখন একটি ডিমের দাম ১৩ টাকার কাছাকাছি। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো পুরোপুরি প্রোটিনের উৎস কিনতে সক্ষম হবে না। সড়কের পাশের বিক্রেতারা একটি সেদ্ধ ডিম বিক্রি করছেন ২০ টাকায়। ঢাকার রেস্তোরাঁয় একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসেন বলেন, “উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় বাংলাদেশের ভোক্তারা কঠিন সময় পার করছেন।খামারে উৎপাদিত ডিম, ব্রয়লার মুরগি এবং চাষকরা মাছ ঐতিহ্যগতভাবে দেশের লাখ লাখ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রধান প্রোটিনের উৎস।”

তিনি কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটে ডিম, মুরগি, মাংস ও মাছের দামের ওপর কঠোর নজরদারির আরোপের বিষয়ে জোর দেন। বলেন, “ডিমের দাম জানুয়ারি-তে যা ছিলো, সেই তুলনায় এখন ডজনে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা বেড়েছে। যা নিম্ন-আয়ের গোষ্ঠী এবং সীমিত আয়ের লোকদের সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।”

রবিবার (২৬ মার্চ) ঢাকায় কিচেন মার্কেট পরিদর্শন করে দেখা যায়, আকার ও মানের ভিত্তিতে, খামারে উৎপাদিত এক ডজন মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। কোনো কোনো বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়। কয়েকটি সুপার শপে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। অন্যদিকে, হাঁসের ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৮০ টাকা এবং ফ্রি-রেঞ্জ (স্থানীয়) মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়।

বাংলাদেশ ডিম উৎপাদক সমিতির সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, “ডিমের চাহিদা এখনো বেশি, অথচ উৎপাদন কিছুটা কমেছে্।”

“মহামারীতে লকডাউনের সময় অনেক খামার তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলো। উচ্চ পরিচালন ব্যয়ের কারণে এখনো উৎপাদনের বাইরে রয়েছে অনেক খামার। মুরগির খাবারের দামের বৃদ্ধির মধ্যে, দেড় বছরে উৎপাদন খরচ ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বেড়েছে; লোকসানের ঝুঁকি অনেককে ব্যবসায় নিরুৎসাহিত করেছে;” জানান তাহের আহমেদ সিদ্দিকী।

XS
SM
MD
LG