বাংলাদেশের চট্টগ্রামে, জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে (বৃষ্টি আইনে) জিতেছে বাংলাদেশ। সোমবার (২৭ মার্চ) আয়ারল্যান্ডের সংশোধিত লক্ষ্য ছিলো আট ওভারে ১০৪ রান; তারা পাঁচ উইকেটে ৮১ রান করতে পারে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং-এ ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন।
আইরিশরা শক্তিশালী ওপেনিং করে। তবে, তৃতীয় ওভারে হাসান মাহমুদের বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে আউট হন রস অ্যাডায়ার। পরের ওভারে তাসকিন আয়ারল্যান্ড-এর মিডল অর্ডার ছিন্নভিন্ন করে দেন। তিনি ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন। এরপেই সংকটে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড দল। শেষ পর্যন্ত তারা নির্ধারিত ৮ ওভারে ৫ উইকেটে ৮১ রান করে।
এর আগে, ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে বাধাগ্রস্ত হয়। তখন বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার ২ বল খেলে ২০৭ রান অর্জন করে; যা চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর।
এক ঘন্টা ২৩ মিনিটের বৃষ্টি-বিলম্বের পর পিচ-এর ঢাকনা সরানো হয়। এর ৪০ মিনিট বিলম্বের পর আয়ারল্যান্ডের জন্য সংশোধিত লক্ষ্য নিয়ে ম্যাচ পুনরায় শুরু হয়। আয়ারল্যান্ড টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশি ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদারের চমৎকার ওপেনিংয়ের সুবাদে বাংলাদেশ ৯ ওভারে ১০০ রানে পৌঁছে যায়। অষ্টম ওভারে ক্রেইগ ইয়ং-এর বোলিংয়ে হ্যারি টেক্টরের হাতে ধরা পড়ার আগে লিটন ২৩ বলে ৪৭ রান করেন, যার মধ্যে ছিলো চারটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্ক।
১৪তম ওভারে গ্রাহাম হিউমের বলে আউট হওয়ার আগে, রনি ৩৮বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা সহ ৬৭ রানের ঝলক দিয়ে ইনিংস-কে উজ্জীবিত করেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ও শামীম হোসেন যথাক্রমে ১৪ ও ৩০ রান এবং তৌহিদ হৃদয় আট বলে ১৩ রান করেন।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৩ বলে তিনটি বাউন্ডারি সহ ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বৃষ্টি শুরুর আগেই ফিনিশিং টাচ দিতে শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ক্রেইগ ইয়াং দুটি উইকেট নেন।
সিরিজের পরবর্তী দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ ও ৩১ মার্চ।