পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার চাষযোগ্য জমি ব্যবহার করে, চুক্তিভিত্তিক কৃষির জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে মৌরিতানিয়া । সম্প্রতি মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচট সফরকালে, বাংলাদেশের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকারনাইন মৌরিতানিয়ার কৃষিমন্ত্রী ইয়াহিয়া উলদ আহমেদ এল ওয়াঘ-এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। জবাবে মৌরিতানিয়ার মন্ত্রী, খাদ্য নিরাপত্তা মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইয়াহিয়া উলদ আহমেদ বলেন, “চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ আবাদযোগ্য জমি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মৌরিতানিয়া। এ উদ্যোগ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের জন্য সম্ভাবনাময় সুযোগ সৃষ্টি করবে।”
সর্বাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন ইয়াহিয়া উলদ আহমেদ। তিনি বলেন, “এটি মৌরিতানিয়ায় বিদ্যমান প্রাকৃতিক কৃষি সম্পদ আহরণের পরিবর্তে বাণিজ্যিক কৃষি কার্যক্রম বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করবে।”
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মৌরিতানিয়ার ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সির সৌজন্যে মৌরিতানিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের রোসো ও বুগা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ সমভূমি পরিদর্শন করেন। এই অঞ্চলে গবাদি পশু পালনের পাশাপাশি গম, ধান ও তরমুজসহ বিভিন্ন ফসল চাষের সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। সৌদি আরবের একটি কোম্পানি ইতোমধ্যে এ অঞ্চলে পেঁয়াজ, রসুন ও তরমুজ উৎপাদন করে ইউরোপে রপ্তানি করছে।